পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এদিন ভোর রাতে প্রাতঃকৃত্য করতে ওই গৃহবধূ দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে ঘরের বাইরে আসেন। তখনই হাতির সামনাসামনি পড়ে যান তিনি। সেই সময় একটি হাতি গৃহবধূ মহসিনা বিবিকে শুঁড়ে পেঁচিয়ে ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে একটি জলাভূমিতে ছুঁড়ে ফেলে দেয়। স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে উন্মত্ত হাতিটির হামলায় জখম হন মৃতের স্বামী সহিদুল আলি ও তাঁদের দুই শিশু ছ’ছরের সার্জিনা খাতুন ও তিন বছরের মাহির আলিও। প্রাথমিক চিকিৎসার পর সহিদুলকে ছেড়ে দেওয়া হলেও জখম শিশু দু’টিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, হাতির ভয়ে কারও সাহস হয়নি জখম মহিলাকে জলাভূমি থেকে উদ্ধার করার।
ভোরের আলো ফোটার পর মহিলাকে জলাভূমি থেকে উদ্ধার করে বীরপাড়া রাজ্য সাধারণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে চিকিৎসকরা মহিলাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। মৃতের দিদি মলিনা খাতুন বলেন, চোখের সামনে বোনকে হাতি শুঁড়ে পেঁচিয়ে তুলে নিয়ে গেলেও প্রাণ ভয়ে আমরা কেউই কিছুই করতে পারলাম না। ভোর রাত পর্যন্ত বোন বেঁচে ছিল।
অসহায় বাসিন্দারা জানান, দলগাঁও জঙ্গলের কমপক্ষে ১৫-২০টি হাতির দল এদিন ভোরে এলাকায় ঢুকে পড়ে। হাতির দলটি এলাকার চারটি ঘরও গুঁড়িয়ে দিয়েছে। ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের অভিযোগ, বৃষ্টির মধ্যে দিনের আলো ফোটা পর্যন্ত হাতির দলটি এলাকায় একের পর এক তাণ্ডব চালায়। স্থানীয় বাসিন্দা জহিরুদ্দিন আলি বলেন, প্রতি রাতেই এলাকায় হাতির পাল ঢুকছে। হাতির হানার জন্য আমাদের বেঁচে থাকাই দায় হয়ে পড়েছে।
জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের এডিএফও নবজিত দে বলেন, ভুট্টা ক্ষেত থাকার কারণেই ওই এলাকায় হাতির উপদ্রব শুরু হয়েছে। ওই এলাকায় হাতির উপদ্রব বন্ধে বনকর্মীদের টহলদারি টিমের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। মৃতের পরিবারকে সরকারিভাবে পাঁচ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগেই কুমারগ্রামের মারাখাতায় ও কালচিনির চিঞ্চুলা চা বাগানে হাতির হামলায় দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ফালাকাটার জটেশ্বর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর দলগাঁও বস্তিতে হাতির তাণ্ডবে বিধ্বস্ত বাড়ি।