বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
এ কথা উল্লেখ করে কমিশনের চেয়ারম্যান প্রাক্তন বিচারপতি অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোম করোনা সংক্রামিত এক রোগীকে ২০ দিনে সাড়ে আট লক্ষ টাকা বিল করেছিল। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখে আমরা ওই নার্সিংহোমকে দু’লক্ষ টাকা রোগীর পরিবারকে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলাম। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেওয়ার ক্ষেত্রে অনীহার পাশাপাশি নার্সিংহোমগুলি কীভাবে ভুয়ো বিল করে রোগীর পরিবারের কাছে মোটা টাকা দাবি করছে, তা তিনি ও কমিশনের সদস্য ডাঃ সুকুমার মুখোপাধ্যায়, ডাঃ মধুসূদন বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডাঃ মৈত্রেয়ী বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন উত্তরকন্যার অডিটোরিয়ামে বৈঠকে উদাহরণ সহ তুলে ধরেন।
প্রাক্তন বিচারপতি অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, একজন রোগীকে চিকিৎসক একটি পরীক্ষা করতে বলেছেন। কিন্তু, তিনি সেই রিপোর্ট দেখার আগেই নার্সিংহোম আরও কয়েকবার সেই পরীক্ষা করিয়ে মোটা টাকা বিল করছে। ওষুধের ক্ষেত্রেও এরকম অযৌক্তিক বিল করা হচ্ছে। তাই বিল করার ক্ষেত্রে কমিশনের পরামর্শ মেনেই করতে হবে। তাতে স্বাস্থসাথী কার্ডে চিকিৎসা করলেও নার্সিংহোমের আর্থিক ক্ষতি হবে না। এখন থেকে আর রোগী ফেরানো যাবে না বলেও জানিয়ে দেন কমিশনের চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, অনেক নার্সিংহোম সঙ্কটজনক রোগীকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেখানো সত্ত্বেও ফিরিয়ে দিচ্ছে। বলা হচ্ছে, বেড নেই, সিসিইউ ফাঁকা নেই। কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, সেসব ক্ষেত্রে নার্সিহোমের ইমার্জেন্সিতে রোগীর চিকিৎসা শুরু করতে হবে। এবং অন্য কোথায় বেড বা সিসিইউ আছে, তার ব্যবস্থা ওই নার্সিহোমকেই করতে হবে। সেই নার্সিংহোমের সঙ্গে যোগাযোগ করে রোগীকে সেখানে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে।