পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু বলেন, সংশ্লিষ্ট রাস্তায় বাতিস্তম্ভ বসানোর খরচ পূর্তদপ্তর দেবে বলে জানিয়েছে। কিন্তু, বাতিস্তম্ভের একাংশ শিলিগুড়ি পুরসভা এবং আরএক অংশ রাজগঞ্জ ব্লকের মধ্যে পড়ে। বিদ্যুতের মাসিক বিল মেটানোর ব্যাপারে রাজগঞ্জ ব্লক চিঠি দিলেও শিলিগুড়ি পুরসভা এখনও কিছু জানায়নি। তারা চিঠি দিলে বাতিস্তম্ভ বসানোর চূড়ান্ত প্রস্তাব পূর্তদপ্তরের কাছে পাঠানো হবে। শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র গৌতম দেব অবশ্য বলেন, প্রস্তাবিত ওই প্রকল্প উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের করার কথা। বিষয়টি নিয়ে জলপাইগুড়ির জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলব। এ ব্যাপারে পুরসভার তরফে কিছু পদক্ষেপ নিতে হলে নেব। শিলিগুড়ি তো বটেই, গোটা উত্তরবঙ্গের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলির মধ্যে ইস্টার্ন বাইপাস উল্লেখযোগ্য। শিলিগুড়িতে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক এবং জলপাইগুড়িতে ৩১ডি জাতীয় সড়কের সঙ্গে রাস্তাটি সংযুক্ত। এই রাস্তার পাশে বাজার, বাড়ি, হাউজিং কমপ্লেক্স প্রভৃতি রয়েছে। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার জেলার বাসগুলি প্রায়ই সংশ্লিষ্ট রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। ছ’মাস আগে জলেশ্বরীতে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট রাস্তায় বাতিস্তম্ভ বসানোর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রশাসন সূত্রের খবর, ইস্টার্ন বাইপাস প্রায় ১০.৯ কিমি লম্বা। পথ দুর্ঘটনা এড়াতে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের রোড সেফটি কমিটির বৈঠকে সংশ্লিষ্ট রাস্তায় বাতিস্তম্ভ বসানোর প্রস্তাব দেয় শিলিগুড়ি পুলিস কমিশনারেটের ট্রাফিক বিভাগ। বেশ কয়েক মাস আগে এ জন্য শিলিগুড়ির ট্রাফিক পুলিস, পূর্তদপ্তর (উত্তরবঙ্গ কনস্ট্রাকশন ডিভিশন) ও জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন যৌথ সমীক্ষা করে ১৩টি বাতিস্তম্ভ বসাতে জায়গা চিহ্নিত করে। যারমধ্যে তিনটি পিলার শিলিগুড়ি পুরসভা এবং বাকি ১০টি পিলার পড়ছে রাজগঞ্জ ব্লকের অধীনে। কিন্তু, বিদ্যুতের মাসিক বিল মেটানোর ব্যাপারে পুরসভার সম্মতিপত্র না মেলায় প্রস্তাবিত প্রকল্প কার্যত থমকে রয়েছে বলে অভিযোগ।