বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এ ব্যাপারে ইংলিশবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি রেলের বাস্তুকারদের সঙ্গে কথা বলেছি। দু-একদিনের মধ্যেই আন্ডারপাসের কাজ ফের শুরু হয়ে যাবে। তারপর আর জল জমা সংক্রান্ত সমস্যা থাকবে না। তিনি আরও বলেন, শহরে মশার বংশবৃদ্ধি রুখতে আমরা বেশকিছু পদক্ষেপ করেছি। মশা মারতে প্রয়োজনীয় রাসায়নিক স্প্রে করা হচ্ছে। তাতে অনেক কাজ হয়েছে। আগের তুলনায় এখন মশার প্রকোপ অনেক কমেছে।
উল্লেখ্য, অন্যান্য শহরের মতো ইংলিশবাজারেও মশার উপদ্রব রয়েছে। ম্যালেরিয়া প্রবণ এই শহরে প্রতি বছর মশাবাহিত রোগে অনেকে আক্রান্ত হন। ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার মতো রোগ ছড়িয়ে পড়লে বিপদ বাড়ার আশঙ্কা থেকে যাবে। মৃত্যুও হতে পারে। ফলে এ ব্যাপারে এখন থেকে সতর্ক হতে হবে। বাড়িতে ফুলের টব, ডাবের খোলা, পরিত্যক্ত পাত্রে বর্ষার সময় জল জমে থাকে। পরিষ্কার জমা জলে মশা ডিম পাড়ে। তা থেকে মশার বংশবৃদ্ধি হয়। বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি মালদহ জেলা প্রশাসন সচেতনতামূলক প্রচার করেছে। জেলার ১৫টি ব্লক ও দু’টি পুরসভার আধিকারিকদের এব্যাপারে প্রশাসনের তরফে সতর্ক করা হয়। তবে তারপরও বেশকিছু জায়গা থেকে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনকে আরও সক্রিয় হতে হবে বলে ওয়াকিবহাল মহলের দাবি।
পুরসভা এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইংলিশবাজার শহরে নিকাশি নালাগুলি সংস্কার সেভাবে হয় না। দীর্ঘদিন ধরে শহরে এই সমস্যা রয়েছে। নিকাশি নালায় আবর্জনা পড়ে থাকে। ফলে জলের গতিরুদ্ধ হয়ে পড়ে। নিকাশি নালার জমা জলে মশার উপদ্রব লক্ষ্য করা যায়। নালা সংলগ্ন বাড়িঘরে সন্ধ্যার সময় টেকা দায় হয়ে পড়ে বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে কাউন্সিলারদের কাছে অনেকে অভিযোগ করেছেন। কিন্তু তারপরও কাজের কাজ তেমন হয়নি বলে দাবি। অন্যদিকে, ইংলিশবাজার শহরের ঘিঞ্জি এলাকায় ছোট নিকাশি নালাগুলিও সর্বত্র ঢেকে রাখা সম্ভব হয়নি। ফলে সেগুলিতেও মশার প্রকোপ লক্ষ্য করা যায়। ফলে সেগুলিও যাতে নিয়মিত পরিষ্কার হয় সেদিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন।