রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
এ ব্যাপারে অবশ্য পুরসভার সাফাই, বিগত বছরগুলির তুলনায় এবার মশার উপদ্রব কম। মশার উপদ্রব কমাতে বাসিন্দাদেরও বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। সম্প্রতি মালবাজারের বাগরাকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশকিছু ডেঙ্গু রোগীর সন্ধান মিলেছে। যা নিয়ে জেলাজুড়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জলপাইগুড়ি শহরে মশার উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় সরব বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা। পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলার অম্লান মুন্সির অভিযোগ, শহরের ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৮, ১৯ এমনকী পুর চেয়ারম্যান যে ওয়ার্ড থেকে এবার জয়ী হয়েছেন, সেই ৭ নম্বর ওয়ার্ডেও রয়েছে মশার উপদ্রব। এককথায় শহরের ২৫ টি ওয়ার্ডের প্রত্যেকটি বস্তি ও ঘিঞ্জি এলাকাতেই উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে গিয়েছে মশা। এতে যে কোনও সময়ে মশাবাহিত রোগের উপদ্রব শুরু হতে পারে। বাসিন্দারা বিষয়টি নিয়ে আমাদের কাছে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য, এখনও পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলারদের নাম ঘোষণা করতে পারেনি পুর কর্তৃপক্ষ। এরা মশা তাড়াবে কীভাবে। চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলের অধীনে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থাকতে হবে, সেই দায়িত্বপ্রাপ্তরাই মশা দমনের বিষয়টি দেখবেন।
শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ভাটাখানার বাসিন্দা কৌশিক ঘোষ, পলাশ রায়, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সেনপাড়া, রায়কতপাড়ার বাসিন্দা সুব্রত রায় জানান, বিকেলের পর থেকে খোলা আকাশের নীচে কোথাও কয়েক মিনিটের জন্য দাঁড়িয়ে থাকার উপায় নেই। মুহূর্তের মধ্যে ছেঁকে ধরে মশার ঝাঁক। ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বড় পোস্ট অফিস মোড়ের ব্যবসায়ী তপনকুমার দেব ও অন্যান্য দোকানদারের বক্তব্য, বিকেল থেকেই দোকান চত্বর থেকে মশা তাড়াতে ডিমের ট্রে পুড়িয়ে ধোঁয়া দিতে হয়। তারপরও কখনও ঘাড়ে, কখনও কপালে, আবার কখনও হাতেপায়ে মশার কামড় খেতে হয়। অথচ পুর কর্তৃপক্ষ নির্বিকার।
পুরসভার চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল বলেন, করোনার সময় ডেঙ্গুর প্রকোপ তেমনভাবে দেখা যায়নি। কিন্তু, এখন পরিস্থিতি বদলেছে। মশা দমনে ফের পুরসভা কাজে নেমেছে। মশা মারার তেলের নতুন স্প্রে মেশিন কেনা হচ্ছে। আগামী জুলাই মাসে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা শুরু হবে। বাড়ির মধ্যে কোথাও যাতে খোলা পাত্রে জল জমে না থাকে, সেটা পুরবাসীকেই নিশ্চিত করতে হবে।