রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
জেলা পুলিস সুপার রাহুল দে বলেন, সাইবার প্রতারণার ফাঁদে যাতে কেউ পা না দেন, তা নিয়ে আমরা লাগাতার প্রচার চালাচ্ছি। পাশাপাশি আমাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকেও এ নিয়ে প্রচার চালানো হচ্ছে। যে কেউ প্রতারণার শিকার হতে পারেন। সে কারণে বলছি, অচেনা কারও সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলা উচিত নয়। এ নিয়েও আমরা সকলকে সতর্ক থাকতে বলেছি।
ত্রিধারা এলাকার বাসিন্দা একজন বলেন, আমার মোবাইলে প্রথমে এক মহিলার ফ্রেন্ড রিকয়েস্ট আসে। আমি তা গ্রহণ করতে আমার মেসেঞ্জারে একটি ভিডিও কল আসে। আমি ভিডিও কল ধরতেই দুই সেকেন্ডের জন্য এক মহিলার অশ্লীল ভিডিও দেখতে পাই। এর পর ভিডিও কলের স্ক্রিন শট পাঠিয়ে আমাকে ফোন করে ব্ল্যাক মেল করা হয়। বলা হয়, আমি নগ্ন মহিলার সঙ্গে ভিডিও কলে চ্যাটিং করেছি। এর জন্য আমাকে মোটা টাকা দিতে হবে। টাকা না দিলে আমার ভিডিও কলের স্ক্রিন শট ভাইরাল করে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে আমি খুবই চিন্তিত ছিলাম। পরে সেই নম্বর, ফেসবুক সব ব্লক করে দিই। চক্রের ফাঁদে পড়েন বালুরঘাটের কামারপাড়ার এক বাসিন্দা। তিনি বলেন, আমিও সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ফাঁদে পড়েছিলাম। ভয়ে অনলাইনে ২ হাজার টাকা দিয়েওছি। পরে আবার টাকা চেয়েছিল। তখন বন্ধুদের পরামর্শে ওই নম্বরগুলো ব্লক করে দিই। এর পর আর ফোন আসেনি। আরও অনেকের সঙ্গে এমনটা হয়েছে বলে শুনেছি।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সাইবার প্রতারকরা নতুন কায়দায় প্রতারণার ছক কষেছে। ফাঁদে পা দিয়ে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন অনেকেই। কী এই সেক্সটরশন? পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মেসেঞ্জারে কিংবা হোয়াটসঅ্যাপে একটি অচেনা নম্বর থেকে প্রথমে কল আসে। কখনও আবার প্রথমে কোনও মেয়ের নামে ফেক আইডি দিয়ে প্রোফাইল বানিয়ে ফ্রেন্ড রিকয়েস্ট পাঠানো হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এর পর ভিডিও কল করা হয়। সেই কল রিসিভ করতেই স্ক্রিনে এক মহিলার নগ্ন ছবি ভেসে ওঠে। ভিডিও কলের ক্ষেত্রে সাধারণত দুই প্রান্তে থাকা দু’জনের ছবিই মোবাইল স্ক্রিনে দেখা যায়। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সাইবার প্রতারকরা ব্ল্যাক মেল করার ফাঁদ পাতে। ১ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাওয়া হয়। এক্ষেত্রে কেউ প্রতারণার শিকার হলে প্রথমে সেই নম্বরগুলি ব্লক করে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে পুলিসের তরফে। পাশাপাশি অপরিচিতদের সঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে এ ধরনের বন্ধুত্ব না করা, অচেনা কাউকে চট করে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর না দেওয়ার পরামর্শও দিচ্ছে পুলিস। এর পরও কেউ প্রতারণার শিকার হলে সাইবার ক্রাইম থানায় যোগাযোগ করতে বলা হচ্ছে।