কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
অন্য দিনের মতো রবিবারও কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জের বাংলাদেশ সীমান্তে বিশেষ অভিযান চালায় বিএসএফ। সংশ্লিষ্ট এলাকা বিএসএফের উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের জলপাইগুড়ি সেক্টরের অধীনে। বিএসএফ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কুচলিবাড়ির ধাপারহাট থেকে দুই বাংলাদেশি সহ এক দালালকে জওয়ানরা আটক করেন। অনুপ্রবেশকারী ও ধৃত দালালকে কুচলিবাড়ি থানার হাতে তুলে দেয় তারা।
পুলিস ও বিএসএফ সূত্রের খবর, ধৃত অনুপ্রবেশকারীদের নাম সাহিল খান (২০) ও গুলু খান (৪২)। বাংলাদেশের রাজশাহীর লালপুরে বাড়ি। এদের সহযোগিতা করার অভিযোগে ধৃত দালালের নাম মাধব দাস। ভক্তিনগর থানার মাজাবাড়িতে তার বাড়ি। যা জলপাইগুড়ি জেলার অধীনে। মাথাভাঙার অতিরিক্ত পুলিস সুপার অমিত ভর্মা বলেন, দুই বাংলাদেশি সহ এক ভারতীয়কে কুচলিবাড়ি থানার হাতে তুলে দিয়েছে বিএসএফ। তাদের অভিযোগের ভিত্তিদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এরমধ্যে ধৃত বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের পর বিএসএফ জানিয়েছে, সম্ভবত রবিবার ভোরে বাংলাদেশ থেকে কোচবিহারের কুচলিবাড়িতে আসে ওই অনুপ্রবেশকারীরা। সেখান থেকে বাইকে করে তাদের শিলিগুড়িতে আনছিল দালাল। জেরায় ধৃত বাংলাদেশিরা জানিয়েছেন, তারা কাজের খোঁজে এপারে আসেন। শিলিগুড়ি হয়ে তারা বাসে ও ট্রেনে চেপে রাজস্থানের জয়পুরে যাওয়ার কথা ছিল তাদের। এ জন্য দালাল তাদের কাছ থেকে কয়েক হাজার টাকা নিয়েছে।
পুলিস ও গোয়েন্দাদের সন্দেহ, ধৃত দালালের সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত রয়েছে। সেই তালিকায় বাংলাদেশি দালালরাও আছে। এদের মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপে নিয়মিত যোগাযোগ হয়। পরিকল্পনা করেই ওই দালাল অনুপ্রবেশকারীদের এপারে এনেছিল। এ ব্যাপারে উভয়পক্ষের মধ্যে আগাম কথোপকথন হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। কোচবিহারের মাথাভাঙার অতিরিক্ত পুলিস সুপার জানান, ধৃত ভারতীয় নাগরিকের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত কি না, তা জানার চেষ্টা চলছে। তাই গোটা ঘটনা গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গোয়েন্দাদের বক্তব্য, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়িতে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী অনেক এলাকা এখনও উন্মুক্ত। আবার কিছু এলাকা দিয়ে বয়ে গিয়েছে নদী। ভরা বর্ষায় নদীর জলস্তর বৃদ্ধির পর এ ধরনের অপরাধ আরও বাড়বে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
পুলিস অফিসাররা জানান, ধৃত দালালকে জেরা করে সে কতজন বাংলাদেশিকে এখনও পর্যন্ত এপারে এনেছে, তা জানার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি সীমান্তের সমস্যা নিয়ে বিএসএফের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। বিএসএফ জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের আইজি অজয় সিংয়ের নির্দেশে সীমান্ত এলাকায় তারা নজরদারি বাড়িয়েছে।