বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকার সঙ্গে সংযোগ রক্ষাকারী রাস্তাগুলিতে পেট্রলিং চলছে, গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি প্রক্রিয়া চালাচ্ছে পুলিস। পাশাপাশি সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে ২৪ ঘণ্টা আগে মঙ্গলবার দফায় দফায় জেলার বিভিন্ন প্রান্তে থাকা হোটেল, লজ, গেস্ট হাউসগুলিতে অভিযান চলে। সন্দেহজনক গতিবিধির গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি করা হয়।
মঙ্গলবার পুলিস সুপার, অতিরিক্ত পুলিস সুপার, ডিএসপি (হেড কোয়ার্টার), কোতোয়ালি থানার আইসি সহ পুলিসের টিম, শহরের একের পর এক হোটেলে অভিযান চালায়। শহরের কদমতলা চত্বরে পরপর তিনটি হোটেল ও শান্তিপাড়ার দু’টি হোটেলের রেজিস্টার খতিয়ে দেখেন পুলিস কর্তারা। হোটেলগুলিতে এখন কারা রয়েছেন, তাঁদের যথাযথ সচিত্র পরিচয়পত্র নেওয়া হয়েছে কি না, হোটেলে কে কবে এসেছেন, কে কখন হোটেল ছেড়েছেন তা পুলিস খতিয়ে দেখে। বেশকিছু ক্ষেত্রে হোটেলের নথিপত্রে অসঙ্গতিও নজরে পড়ে পুলিস আধিকারিকদের। ওসব হোটেলের ম্যানেজারদের নথিপত্রের অসঙ্গতি দূর করবার জন্য থানায় ডাকা হয়।
একটি হোটেলের রেজিস্টারে অসঙ্গতি থাকায় তা কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যাওয়া হয় বলে পুলিস সূত্রে খবর। এদিনের অভিযান প্রসঙ্গে পুলিস সুপার বলেন, শুধু শহরেই নয় জেলার সর্বত্রই হোটেলগুলিতে অভিযান চলেছে। হোটেলে যে গেস্টরা আছেন, তাঁদের নথিপত্র হোটেলে যথাযথভাবে জমা দিয়েছেন কি না তাও খতিয়ে দেখা হয়েছে। যেখানে যেখানে নথিপত্রে কোনও অস্বাভাবিক কিছু নজরে এসেছে সেখানেই সেই হোটেল কর্তৃপক্ষকে থানায় গিয়ে অসঙ্গতি দূর করার জন্য বলা হয়েছে। থানা এলাকাতেও ঘুরিয়ে ফিরিয়ে চলছে নাকা চেকিং। কিছু কিছু জায়গায় গোয়েন্দা টিমও তল্লাশির দায়িত্বে আছে।
প্রসঙ্গত, জলপাইগুড়ি জেলা পর্যটন শিল্পের জন্য হোটেল, রিসর্টগুলিতে বাইরে থেকে বহু মানুষ আসে। সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে তাই নিরাপত্তার জন্য এ ধরনের তল্লাশি অভিযান চলে হোটেল, রিসর্টে। এদিকে রাজগঞ্জ থানার কয়েকটি পয়েন্টে পুলিস সুপার নিজে দাঁড়িয়ে থেকে নাকা চেকিং করান। রাজগঞ্জ থানার আইসি পঙ্কজ সরকার জানান, রাজগঞ্জের হাতিমোড় এলাকায় নাকা চেকিং প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখেন পুলিস সুপার।