বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
প্রতি বছরের শুরুতেই ইংলিশবাজার পুরসভার পক্ষ থেকে ডায়েরি প্রকাশ করা হয়। ডায়েরিতে পুরসভার নির্বাচিত প্রতিনিধি থেকে প্রতিটি বিভাগ, জেলা প্রশাসনের আধিকারিক এবং বিধায়ক ও সাংসদদের নাম থাকে। বিভিন্ন তথ্য থাকায় ডায়েরিটি পুরসভার অত্যন্ত প্রয়োজনীয় দলিল হিসেবে থেকে যায়। কিন্তু এবছর ডায়েরি প্রকাশিত হতেই বিতর্ক শুরু হয়। দেখা গিয়েছে সেখানে উত্তর মালদহের এমপি খগেন মুর্মু ও দক্ষিণ মালদহের আবুহাসেম খান চৌধুরীর (ডালু) নাম থাকলেও তাৎপর্যপূর্ণভাবে বাদ পড়েছে তৃণমূলের রাজ্যসভার এমপি মৌসম নুরের নাম।
মৌসম বলেন,শুনেছি ওই ডায়েরিতে অন্যান্য বিরোধী দলের দুই এমপির নাম থাকলেও আমার নাম নেই। আমি তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ। আমার নাম কেন বাদ পড়ল, তার ব্যাখ্যা পুরকর্তৃপক্ষই দিতে পারবে। এর বেশি আর একটি কথাও বলব না।
তবে পুরসভার ডায়েরিতে নাম না থাকা নিয়ে মৌসম নিজে পরিশীলিত প্রতিক্রিয়া দিলেও ক্ষোভে ফেটে পড়েছে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল। ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন মৌসমের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখা পুরসভার একাধিক কো-অর্ডিনেটর এবং জেলা তৃণমূলের বিভিন্ন স্তরের নেতা-নেত্রীরা।
ইংলিশবাজার পুরসভার তৃণমূল কো-অর্ডিনেটর প্রসেনজিৎ দাস বলেন, মৌসম নুর আমাদের জেলারই বাসিন্দা ও রাজ্যসভার সাংসদ। তাঁর নাম পুরসভার ডায়েরিতে না থাকা অত্যন্ত লজ্জাজনক ও দুর্ভাগ্যজনক। মৌসম নুর তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ নেত্রী। এই ভুল কারা করেছেন তা বলতে পারবেন ইংলিশবাজার পুরসভার দায়িত্বে যাঁরা রয়েছেন তাঁরাই।
পুরসভার দু’বারের এক কাউন্সিলার বলেন, মৌসমের নাম বাদ পড়া নিয়ে বিতর্ক হবে সেটা স্বাভাবিক। যে ক’জন এখন বাকিদের ব্রাত্য রেখে পুরসভা চালাচ্ছেন,ডায়েরি প্রকাশ করার আগে তাঁদের অনেক বেশি যত্নশীল হওয়া উচিত ছিল।মৌসম নুরের সভাপতিত্বে তৃণমূলের জেলা কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা এক প্রবীণ নেতা বলেন, যাঁরা একসময় মৌসমের দলীয় কার্যালয়ে ঠায় বসে থাকতেন, তাঁরাই আজ রাজ্যসভার সাংসদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করছেন। একথা অস্বীকার করা অন্যায় হবে। এই বিতর্কের মাঝেই ফের তৃণমূলের কয়েকজন নেতা-নেত্রী উস্কে দিয়েছেন কার্নিভাল বিতর্ক। তাঁদের বক্তব্য, কার্নিভালের সময় জনপ্রতিনিধিদের একাংশকে এড়িয়ে গিয়ে বিতর্ক তৈরি করেছিল পুরসভা কর্তৃপক্ষ। এধরনের বিতর্ক দলেরই ক্ষতি করছে।পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুমালা আগরওয়াল বলেন, রাজ্যসভার সাংসদের নাম বাদ পড়াটা অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি। নির্বাচনের আগে এই ধরনের বিতর্ক ইচ্ছা করে তৈরি করছেন কেউ কেউ। রাজ্যসভার সাংসদ থাকাকালীন মৌসম নুরের নাম এর আগেও ডায়েরি থেকে বাদ পড়েছিল। তখন কেন কেউ প্রশ্ন তোলেননি। কার্নিভালের সময় করোনা সংক্রমণ এত তীব্র ছিল না। সুতরাং কার্নিভালকে শহরের সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণ হিসেবে তুলে ধরার ভিত্তি নেই।