বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
গত বৃহস্পতিবার ট্রেন দুর্ঘটনার পর শুক্রবার থেকেই বিভিন্ন জায়গার লোকজন দক্ষিণ মৌয়ামারিতে তাঁদের আত্মীয়ের বাড়িতে আসছেন। অনেক দিন পর আত্মীয় দেখে খুশি বাড়ির লোকজনও। যদিও করোনার কারণে সেভাবে কাজকর্ম না থাকা এবং বাড়িতে আচমকা আত্মীয়স্বজন চলে আসায় কিছুটা হলেও ফ্যাসাদে বাসিন্দারা।
গুয়াহাটিগামী বিকানির এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কবলে পড়ার খবর টিভিতে দেখে, খবরের কাগজে পড়ে, সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখে ক’দিন ধরেই ঘটনাস্থলে কাতারে কাতারে লোকজন আসছে। শুক্রবার সকাল থেকেই এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে শিলিগুড়ি, হলদিবাড়ি, ধূপগুড়ি থেকে আত্মীয় স্বজনরা আসতে শুরু করেন। সোমবারও অনেক বাড়িতে আসেন আত্মীয়রা। আত্মীয়স্বজনদের আসার খবরে কেউ বাজার থেকে আনছেন মাছ, মাংস কেউ আবার নিজের বাড়ির পুকুরের মাছ তুলছেন আত্মীয়দের খাওয়ানোর জন্য। বেশকিছু বাড়িতে রাতে আত্মীয়দের থাকার জন্য ঠান্ডায় বারান্দাতেই বিছানা করা হচ্ছে।
চোখের সামনে দুর্ঘটনাগ্রস্ত কামরাগুলি দেখে হতবাক আত্মীয়স্বজনেরা। তাঁরা জানান, টিভিতে দেখেছি, পেপারে পড়েছি। এতে কৌতূহল আরও বেড়েছে। তাই আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করে চলে এসেছি। এলাকার বাসিন্দা জগবন্ধু রায় বলেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে আত্মীয়স্বজনরা আসছেন। আমরা নিজেদের সাধ্যমতো তাঁদের আপ্যায়ণ করছি। অনেক আত্মীয় কয়েক বছর পর আমাদের বাড়িতে এসেছেন। তাঁদের দেখে খুশি লাগছে। পুকুরের মাছ তুলে খিচুড়ি রেঁধে খাওয়াচ্ছি।
অপর বাসিন্দা লিপিকা রায় বলেন, আমার বাপেরবাড়ি, দিদার বাড়ি থেকে প্রচুর লোকজন এসেছেন। কোভিড পরিস্থিতির কারণে হাতে তো কাজ নেই। আমাদের আখের দোকান রয়েছে। ঘুরে ঘুরে আখের রস বিক্রয় করেন আমার স্বামী। এদিন মাছ রান্না করেছি। ভালোই লাগছে, মা এসেছে, দিদা এসেছে।
আবুল কালাম বলেন, দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেন স্বচক্ষে দেখতে শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি থেকে আত্মীয়রা আসছেন। অনেকে ঘুরে চলে গিয়েছে। পুকুরের টাটকা মাছ আজ রান্না হয়েছে। বিশেশ্বর রায় বলেন, অভিশপ্ত সেই ট্রেন দেখতে আত্মীয়ের বাড়ি এসেছি। ভয়ঙ্কর সেই দৃশ্য দেখলাম। এমনটা যেন আর কোথাও না হয় ঈশ্বরের কাজে এই প্রার্থনা করি।