পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
আর ওই দিনই জয়গাঁ থেকে ফেরার পথে সন্ধ্যায় হাসিমারা ফ্লাইওভারের কাছে খুন হয়ে যান মজিদা। প্রথমে পুলিসও মনে করেছিল এটা নিছকই এক্রামূলদের গাড়ি থামিয়ে তাঁর স্ত্রীকে গলা কেটে খুন করে দুষ্কৃতীদের সোনার চেন ছিনতাই করার ঘটনা। কিন্তু পুলিসি তদন্তে ফের নতুন সন্দেহজনক তথ্য উঠে আসায় ওই খুনের ঘটনার তদন্ত আরও নতুন দিকে মোড় নিল।
কেন এক্রামূল পাঁচবছর আগে কেনা তাঁর চারচাকার গাড়িতে খুন হওয়ার আগের দিন পর্যন্ত নিজের স্ত্রীকে গাড়িতে চড়াননি? কেনই বা নিজের গাড়ি থাকার পরেও চিকিৎসার জন্য একদিনও গর্ভবতী স্ত্রীকে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যাননি? এই যাবতীয় প্রশ্নও এখন ঘুরপাক খাচ্ছে পুলিসের তদন্তকারী অফিসারদের মনে।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কোচবিহারের ঘোকসাডাঙা থানার কুশিয়ারবাড়ি গ্রামের ওই বধূ খুন হওয়ার পর পুলিস হাসিমারার ফ্লাইওভার থেকে জয়গাঁ পর্যন্ত গোটা এশিয়ান হাইওয়ের দু’পাশে বিভিন্ন দোকানে ও পুলিসের লাগানো সিসি ক্যামেরার ফুটেজ তন্ন তন্ন করে খতিয়ে দেখে। কিন্তু, ওই দিনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজেও পুলিস অস্বাভাবিক কিছু খুঁজে পায়নি।
এরপর পুলিস যেখানে খুনের ঘটনাটি ঘটেছিল সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে সেই সন্ধ্যায় কারও কোনও চিৎকারের আওয়াজ শুনতে পাননি তাঁরা। বাসিন্দারা পুলিসকে জানিয়েছিল, শুধু এক্রামূল এশিয়ান হাইওয়েতে গাড়ি নেমে চিৎকার করে নিজেই অচৈতন্য হয়ে পড়ে যান। পুলিসকে দেওয়া বাসিন্দাদের এই তথ্যে ওই বধূ খুনের ঘটনায় সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়েছে। এদিকে রবিবার রাতে মৃত বধূর বাপেরবাড়ির লোকজনকে হাসিমারায় ডেকে পাঠিয়েছিল পুলিস। মনে করা হচ্ছে, এক্রামূল সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য জানতেই পুলিস বধূর বাপেরবাড়ির লোককে ডেকে পাঠিয়েছে। কোচবিহারের নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন এক্রামূল এখন সুস্থ। তাই পুলিস এখন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। মৃত বধূর দাদা নুর আলম জানিয়েছেন, তাঁরা পুলিসকে নির্দিষ্টভাবে কিছু বলেছেন। বোন গর্ভবতী হওয়ার পরেও এক্রামূল বোনের চিকিৎসা করায়নি। আলিপুরদুয়ারের পুলিস সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, এক্রামূল কেন নিজের স্ত্রীকে তার চারচাকার গাড়িতে একদিনও চড়াননি বা গর্ভবতী স্ত্রীর চিকিৎসাও করাননি তদন্তে এই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত এখনও চলছে। তারআগ এ নিয়ে আর কিছু বলা সম্ভব নয়।