বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
ধীরাজবাবু বলেন, তিনবছর আগে দেবের হাঁটতে সমস্যা হচ্ছিল। বিছানায় বা মাটিতে বসলে ওর ওঠা কঠিন হতো। সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামার সময় হামাগুড়ি দিয়ে চলত। ছেলের সমস্যা দেখে প্রথমে খড়িবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল পরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাই। শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে এক বছর চিকিৎসা করা। তাতেও কিছু না হওয়ায় ছেলেকে পাটনার এইমসে নিয়ে যাই। ছেলে এখনও সুস্থ হয়নি।
ছাত্রের মা গুড়িয়া গুপ্তা প্রসাদ বলেন, ছেলেকে এইমসে নিয়ে যাওয়ার পর ডুচেন মাসকুলার ডিস্ট্রফি (ডিএমডি) নামক জটিল রোগে আক্রান্তের হদিস পাওয়া যায়। চিকিৎসকরা বলেছেন, এখনও পর্যন্ত এই রোগের কোনও সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। বর্তমানে এই রোগ নিয়ন্ত্রণ করা ছাড়া আর কোনও চিকিৎসা নেই। এরপর ছেলেকে চিকিৎসার জন্য লখনউয়ের একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাই। বোন ম্যারো ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ডিএমডি রোগ নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। সেখানে বোন ম্যারো অস্ত্রোপচারের জন্য ৯ লক্ষ ২০ হাজার টাকা লাগবে। যা আমাদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। ছেলের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন ক্ষুদ্র অর্থলগ্নি সংস্থা থেকে ঋণ নিয়েছি। টাকার অভাবে চিকিৎসা না করে বাড়ি ফিরে আসতে হয়েছে। দার্জিলিংয়ের এমপি রাজু বিস্তার সহায়তায় চিকিৎসার জন্য দিল্লির এইমসে যাই। টানা তিনমাস চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে হয় ছেলেকে। এখন তো যাতায়াত খরচ জোগাড় করা কঠিন হয়ে পড়েছে। রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের পরিষেবায় অন্তর্ভুক্ত ওই পরিবার। ছাত্রের মা বলেন, স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড থাকলেও এই রোগের চিকিৎসার জন্য ভিনরাজ্যে যেতে হচ্ছে। এতে টাকার অভাবে যাতায়াত করতে পারছি না। ওষুধও কিনতে পারছি না। চিকিৎসকরা বলছেন এই রোগের কোনও চিকিৎসা নেই। ছেলেকে বাঁচাতে পরিবারটি সকলের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে। খড়িবাড়ির বিএমওইচ ডাঃ সফিউল আলম মল্লিক বলেন, ডিএমডি বিরল জেনেটিক রোগ। জেনেটিক মিউটেশনের কারণে এই রোগ হয়। এই রোগের কোনও নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। অস্থিমজ্জা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কিছু সময়ের জন্য এই রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এই রোগ নিয়ন্ত্রণ করা খুবই ব্যয়বহুল। বর্তমানে এই রোগের চিকিৎসা নিয়ে গবেষণা চলছে।