ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ
মহকুমার কৃষকরা বলেন, বর্তমানে খোলাবাজারে ধান ১২৫০ টাকা থেকে ১৩০০ টাকা প্রতি কুইন্টাল বিক্রি হচ্ছে। কৃষকদের অসহায়তার সুযোগ নিয়ে খোলা বাজারে পাইকাররা দামও বাড়াতে চাইছেন না। মাথাভাঙা-১ ব্লকের কৃষকরা জানান, ব্লকের কৃষক বাজারটি মাথাভাঙা শহর সংলগ্ন পচাগড় পঞ্চায়েতের পঞ্চানন মোড়ে। ফলে পচাগড়, জোরপাটকি ও কুর্শামারি পঞ্চায়েতের কৃষকরা কৃষক বাজারে ধান বিক্রি করতে সহজেই যেতে পারছেন। নয়ারহাট, কেদারহাট, গোপালপুর, বৈরাগিরহাট, হাজরাহাট-১, ২ এবং শিকারপুর পঞ্চায়েতের দূরত্ব ওই কৃষকবাজার থেকে ১৫ কিমির বেশি। একজন কৃষককে ধান বিক্রি করতে হলে বেশ কয়েক দিন কৃষকবাজারে আসতে হয়। দূরত্বের জন্য অনেক সময়ে তাঁদের হয়রানির স্বীকার হতে হয়। গাড়ি ভর্তি হয়ে গেলে মিল মালিকরাও ধান নিতে চান না।
মাথাভাঙা-২ ব্লকের কৃষক বাজার লতাপাতা পঞ্চায়েত এলাকায়। নিশিগঞ্জ-১, ২, প্রেমেরডাঙা, পাড়ডুবি, ফুলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের কৃষকরা কৃষক বাজারে ধান বিক্রি করতে আগ্রহ দেখান না দূরত্বের কারণে। শীতলকুচি ব্লকের খলিসামারি, বড় কৈমারি, ভাঐরথানা, ছোট শালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের কৃষকরাও দূরত্বের কারণে কৃষক বাজারে ধান বিক্রি করতে আগ্রহ দেখান না। এছাড়াও রয়েছে দালাল চক্র।
কৃষকদের অভিযোগ, মিল মালিক ও খাদ্যদপ্তরের একাংশ কর্মীর মদতে দালালরা কবে গাড়ি আসবে তা আগাম জেনে যায়। দলবল নিয়ে তারা আগে ধান ওজন করাতে শুরু করে দেয়। মিল মালিক ট্রাক ভর্তির পর ধান কিনতে চান না। ফলে কৃষকদের ধান দিনের পর দিন মান্ডিতে পড়ে থাকে। এ নিয়ে প্রশাসনিক উদাসীনতাও রয়েছে বলে অভিযোগ কৃষকদের। চাষিরা প্রতিটি ব্লকে বড় হাটে সপ্তাহে অন্তত একদিন করে সহায়কমূল্যে ধান কেনার জন্য শিবির করার দাবি তুলেছেন। মহকুমার তিনটি ব্লকে অন্তত এ ধরনের পাঁচ-ছ’টি বাজার রয়েছে। দাবি উঠছে, বাজারে যত ধান আসবে সবটাই কিনতে হবে। মিল মালিক একটি ট্রাক নিয়ে এসে তা ভর্তি করে চলে গেলে হবে না। কোচবিহার জেলা খাদ্য নিয়ামক দাওয়া ওয়াগেল লামা বলেন, জেলার ১২টি কৃষক বাজারে সহায়কমূল্যে ধান কেনা চলছে। আমরা আরও বেশ কয়েকটি ধান ক্রয়কেন্দ্র বৃদ্ধির পরিকল্পনা নিয়েছি। এ নিয়ে রাজ্যকে জানানো হয়েছে। মান্ডিতে যাতে ধান পড়ে না থাকে, সেদিকে নজর দেওয়া হবে। কে দালাল আর কে কৃষক তা আমাদের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়।