বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
গ্রাহকদের অভিযোগ, নভেম্বর মাস থেকে রেশন ডিলার সরকারের গ্রাহক পিছু বরাদ্দ করা খাদ্যসামগ্রী দিচ্ছেন না। প্রাপ্য থেকে অনেক কম পরিমাণে চাল, গম, আটার প্যাকেট দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও আধার কার্ডের সঙ্গে রেশন কার্ড লিঙ্ক রেশন দোকানে হবে বলে জানানো হলেও গ্রাহকরা প্রয়োজনীয় নথিপত্র নিয়ে এলেও ডিলাররা তাঁদের নানা অজুহাতে বারবার ঘোরাচ্ছেন। ফলে অনেকে রেশন তুলতে গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
তুফানগঞ্জ মহকুমা খাদ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রেশন দোকানের অনেক গ্রাহকের আধারের সঙ্গে রেশনকার্ড লিঙ্ক হয়নি। তাই গ্রাহকদের রেশন সামগ্রী তোলার তথ্য খাদ্যদপ্তরের নির্দিষ্ট পোর্টালে নথিভুক্ত হচ্ছে না। অফলাইনে আর রেশন দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই কারণে যাঁদের আধার ও রেশন কার্ডের লিঙ্ক নেই, তাঁরা রেশন পাচ্ছেন না। লিঙ্কের কাজটি শেষ করার জন্য পদক্ষেপ করা হয়েছে।
কৃষ্ণপুর গ্রামের ওই রেশন ডিলার জাবেদা বিবি বলেন, আমাদের কিছুই করার নেই। কারণ, খাদ্যদপ্তর থেকেই কম পরিমাণে রেশন সামগ্রী পাঠানো হচ্ছে। তাই গ্রাহকদের সরকার বরাদ্দ মাথাপিছু নির্দিষ্ট ওজনের চাল, গম, আটা দিতে পারছি না। এটা গ্রাহকদের বোঝানো হলেও তাঁরা বুঝতে চাইছেন না। তবে এটা ঠিক, সকল গ্রাহকের আধারের সঙ্গে রেশন কার্ডের লিঙ্ক এখনও করে উঠতে পারিনি। আসলে আগে দোকানটি শ্বশুরের নামে ছিল। তিনি মারা যাওয়ার পর স্বামীর নামে হয়েছে। কিন্তু তিনিও এখন বেঁচে নেই। তাই লিঙ্কের কাজ করার জন্য কোড নম্বর ইনভ্যালিড হয়ে আছে। সেটি চালু করার জন্য খাদ্যদপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। মহকুমা খাদ্যদপ্তরে বিষয়টি আগেই জানিয়েছি। এটাও গ্রাহকদের বোঝানোর চেষ্টা করছি।
তুফানগঞ্জ মহকুমা খাদ্য নিয়ামক সিদ্ধার্থ বোমজান বলেন, অনেক গ্রাহকের রেশন কার্ড ব্লক হয়ে আছে। তাই অনলাইনে খাদ্যসামগ্রী আসছে না। আপাতত ওই রেশন দোকানে আমরা অফলাইনের মাধ্যমে কিছু সামগ্রী পাঠিয়েছি। সমস্যার বিষয়টি উপর মহলে জানানো হয়েছে। আশা করি, আগামী মাসের মধ্যে সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে যাবে।
গ্রাহকদের অভিযোগ, অন্যসব রেশন দোকান থেকে একসঙ্গেই কেন্দ্র ও রাজ্যের বরাদ্দ খাদ্যসামগ্রী গ্রাহকদের দেওয়া হয়। কিন্তু, এখানে দু’মাস ধরে সমস্যা হচ্ছে। এক সপ্তাহে রাজ্য সরকারের বরাদ্দ চাল, গম, আটা দিচ্ছে। আবার কয়েকদিন পর কেন্দ্রের বরাদ্দ চাল ও গম দিচ্ছে। তাও কম দেওয়া দিচ্ছে। স্থানীয় রেশন গ্রাহক দিলীপ বর্মন বলেন, আধার কার্ডের সঙ্গে রেশন কার্ড লিঙ্কের কাজটি করার জন্য বহুবার রেশন দোকানে এসেছি। কিন্তু, কাজ হয়নি। আমরা সবাই নিজেদের কাজকর্মে প্রতিদিন ব্যস্ত হয়ে থাকি। বারবার রেশন দোকানে যাওয়া সম্ভব হয় না। আমরা চাই, দ্রুত সুষ্ঠুভাবে লিঙ্কের কাজটি করা হোক। ডিলার অনেক কথাই বলছেন, ওসব আমরা বুঝি না। আমরা চাই, দ্রুত আধার ও রেশন কার্ডের লিঙ্ক করে দিক খাদ্যদপ্তর।