বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
মালদহ সদর ট্রাফিকের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক বিটুল পাল বলেন, এতদিন আমরা মূলত শহরাঞ্চলেই ট্রাফিক আইন বলবত করতে সচেষ্ট ছিলাম। এদিন থেকে তা জেলাজুড়ে করা হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলে এদিন বেশকিছু জায়গায় নাকা চেকিং করা হয়। সেখানে ট্রাফিক আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। অনেককেই জরিমানা করা হয়েছে। ডিসেম্বর এবং জানুয়ারি মাসজুড়ে ওই অভিযান চলবে। আইন মেনে চলে এমন সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। শীতের মরশুমে যাতে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে, তার জন্যই ময়দানে নেমেছে ট্রাফিক পুলিস।
উল্লেখ্য, মালদহে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা রয়েছে। তারমধ্যে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অন্যতম। এর পাশাপাশি একাধিক রাজ্য সড়কেও যানবাহনের চাপ রয়েছে। এই জেলা সড়কপথে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করে। ফলে রাজ্যের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যেতে গেলে মালদহকে এড়িয়ে চলা সম্ভব নয়। যানবাহনের চাপ থাকায় দুর্ঘটনাও বেশি ঘটে। বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় শীতে দুর্ঘটনার হার বেশি বলে ট্রাফিক পুলিসের আধিকারিকরা জানিয়েছেন। শীতে কুয়াশার জন্য চালকদের রাস্তা দেখতে অসুবিধা হয়। পাশাপাশি শীতকালে রাতের দিকে চালকদের মধ্যে অনেকেই তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়েন। মূলত ভোরের দিকে দুর্ঘটনাগুলি ঘটে। ফলে বছরের অন্যান্য ঋতুর তুলনায় শীতে পুলিসকে বেশি নজরদারি চালাতে হয়। অধিকাংশ জেলায় ট্রাক ও রাতের দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাসের চালকদের ঘুম ছাড়াতে পুলিস রাস্তায় চা, গরম জল রাখার ব্যবস্থা করে। গরম জলে চোখ-মুখ ধোয়া বা চা খাওয়ার পর তন্দ্রাচ্ছন্নভাব অনেকটাই কেটে যায়। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা কমে যায় অনেকটাই।
এদিকে, বড় যানবাহনের পাশাপাশি বাইক সহ অন্যান্য ছোট গাড়ির চালকদের মধ্যেও ট্রাফিক আইন ভাঙার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। সেক্ষেত্রে অনেক সময় বাইক বা ছোট গাড়ির সঙ্গে বড় যানবাহনের সংঘর্ষ হয়। কখনও বা বাইক আরোহীরা পথচারী অথবা রাস্তার পাশে থাকা গাছ বা অন্যান্য জিনিসে গিয়ে ধাক্কা মারেন। কখনও আবার বাইক নিয়ে রাস্তার উপর বা পাশে ছিটকে পড়েন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দ্রুতগতির বাইক বা চার চাকার গাড়ির ক্ষেত্রেই এই ঘটনা ঘটে। বাইক চালক ও আরোহীদের মাথায় হেলমেট না থাকলে ঝুঁকি বেড়ে যায়। চার চাকার গাড়ির চালক বা আরোহীরা নিয়ম মেনে বেল্ট না বাঁধলে সমস্যা হয়। এই বিষয়টি নিয়েই পুলিস সুপার বুধবার ইংলিশবাজার শহরের রাস্তায় নেমে চালক ও আরোহীদের সচেতন করেন। তবে পুলিস যে শুধু সতর্ক করেই থেমে থাকবে না, তা তিনি স্পষ্ট করে দেন। পুলিস সুপারের কড়া বার্তা পেয়ে ট্রাফিক বিভাগ জেলাজুড়ে আইন বলবৎ করতে উঠেপড়ে লেগেছে। এদিন থেকেই জেলার একাধিক থানা এলাকায় অভিযান চলে। অনেককে জরিমানা করা হয়। জরিমানা দিতে টালবাহানা করায় পুলিস অনেককে রাস্তার পাশে দীর্ঘক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখে। অনেককে পুলিস আধিকারিকরা ধমকও দেন। চালকের পাশাপাশি বাইকের আরোহীদেরও হেলমেট পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।