নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: দলীয়ভাবে প্রার্থী ঘোষণার আগে কেউ নিজেকে পুর নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে প্রোজেক্ট করলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনই নিদান দার্জিলিং (সমতল) জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের। তবে এই হুঁশিয়ারি জেলা নেতৃত্বের নয়, খোদ রাজ্যের শীর্ষ কমিটির বলে সোমবার জানান জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ। আসলে পুরভোটের আগে দলের ‘রণকৌশল’ নিয়ে দার্জিলিং (সমতল)এর জেলা সভাপতি পাপিয়া ঘোষকে কলকাতায় ডেকে পাঠানো হয়। সেখানে তাঁর সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করেন আইপ্যাকের কর্ণধার প্রশান্তকিশোর। পাপিয়া ঘোষ মাসতিনেক আগে জেলার সভানেত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন। দল পরিচালনার কাজে কোথাও কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না, তা জানতে চাওয়া হয় তাঁর কাছে। শোনা হয় তাঁর আগাম পরিকল্পনাও। বৈঠকে প্রধান বিষয় ছিল শিলিগুড়ি পুরসভার ভোট। সেখানে প্রার্থী চূড়ান্ত করার আগে বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। জেলা তৃণমূল সূত্রের খবর, শিলিগুড়ি পুরসভায় মোট ৪৭টি ওয়ার্ড রয়েছে। দলীয় নেতৃত্বের মতে, সব ওয়ার্ডেই একাধিক যোগ্য প্রার্থী রয়েছে। আর যোগ্যতা পরীক্ষার মাপকাঠি নির্ণয় করেই আলাদাভাবে সমীক্ষা চালাচ্ছে টিম পিকে। তবে জেলা নেতৃত্বকে বলা হয়েছে, কেউ প্রার্থী হওয়ার আবেদন জানালে তা গ্রহণ করবেন। সেই তালিকা যত বড়ই হোক, তা আলাদা করে আইপ্যাক এবং দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়ে দেবেন। সেই প্রসঙ্গ তুলে পাপিয়া এদিন জানান, আমাদের কাছে প্রার্থী হওয়ার যতগুলো আবেদন আসবে, তা পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
আসলে এবার শিলিগুড়ি পুরভোটে তৃণমূল অনেকটাই সেফ জোনে। কারণ বিধানসভা ভোটে বিজেপি ফল ভাল করলেও তারপর থেকে পদ্মশিবিরের ভিত যেভাবে দুর্বল থেকে দুর্বলতর হচ্ছে তাতে তাদের সৈনিকরা ক্রমশই মনমরা হয়ে পড়ছেন। ব্যাকসিটে বাম-কংগ্রেসও। তাই এবার শিলিগুড়ি পুরসভা দখল করা নিয়ে অনেকটাই আশাবাদী ঘাসফুল বাহিনী। আর সেটা আঁচ করেই আগামী সপ্তাহ থেকে অঞ্চল, ব্লক সম্মেলন সফল করতে কোমর বেঁধে নামছে জেলা তৃণমূল। পাপিয়া বলেন, ১০টি ব্লকের সম্মেলন সেরে আাগমী জানুয়ারিতে জেলা সম্মেলন করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এব্যাপারে জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যদিও এখনও দার্জিলিং সমতলে জেলা কমিটি, ব্লক কমিটি গঠিত হয়নি। সেই প্রসঙ্গে পাপিয়া বলেন, রাজ্য নেতৃত্বের কাছে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, যত শীঘ্র সম্ভব জেলা ও ব্লক কমিটি গঠন করা হবে। এবং তা যে পুরভোটের আগেই হবে এমন ইঙ্গিতও রাজ্য নেতৃত্বের তরফে মিলেছে বলে জানান তিনি।