পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অব ইন্ডিয়ার মালদহ ডিভিশনের বাস্তুকার সাদাব আলম বলেন, রূপাহার থেকে শুরু হয়ে রায়গঞ্জ শহরকে বাইপাস করে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কটি বারোদুয়ারি পর্যন্ত গিয়েছে। সেখানেই মূল জাতীয় সড়কের সঙ্গে রাস্তাটি যুক্ত হবে। সেটি সম্প্রসারিত হবে ডালখোলা পর্যন্ত। রায়গঞ্জ ব্লকের রূপাহার থেকে গৌরী, মাড়াইকুড়া, বাহিনের উপর দিয়ে বাইপাস রাস্তাটি চলে গিয়েছে। ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই বাইপাস হয়ে গেলে রায়গঞ্জ শহরের যানজট কমবে। রূপাহার থেকে ডালখোলা পর্যন্ত পুরো ৪৫ কিলোমিটার রাস্তা ফোর লেন হচ্ছে। এজন্য ১০২৮ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। তবে এই প্রোজেক্টের কাজ দেরি হয়ে যাওয়ায় খরচ কিছুটা বাড়বে। তবে তহবিলের কোনও সমস্যা নেই।
রায়গঞ্জের সুভাষগঞ্জ এলাকার চাপদুয়ারে রেললাইনের উপর দিয়ে বাইপাস তৈরি করা হচ্ছে। সেখানে পদ্ধতিগত কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছিল। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছিল, তাদের জমিতে কোনও পিলার তৈরি করা যাবে না। সেকারণে আমাদের নতুন করে নকশা করতে হয়েছে। কিছু জায়গায় জমি দখলমুক্ত করতেও সময় লেগেছে। এসবের জন্যই দেরি হচ্ছে। তবে আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এই কাজ শেষ করার টার্গেট নেওয়া হয়েছে। আশা করি, আমরা সেই টার্গেট পূরণ করতে পারব। জেলার ব্যবসায়ীরা বলেন, রায়গঞ্জ শহরকে বাইপাস করে যে জাতীয় সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে, তাকে আমরা স্বাগত জানাই। শহর সম্প্রসারণের জন্য এবং শহরের গতি বৃদ্ধির জন্য ওই বাইপাস অত্যন্ত জরুরি ছিল। এই কাজ মাঝখানে বন্ধ থাকায় আমরা হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। এখন পুরোমাত্রায় কাজ চলায় আমরা খুশি। বাইপাস নির্মাণের ফলে রায়গঞ্জ শহর আরও সম্প্রসারিত হবে। এতে লাভ হবে রায়গঞ্জের বাসিন্দাদেরই। ব্যবসায়ীরাও উপকৃত হবেন। রায়গঞ্জ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অতনুবন্ধু লাহিড়ি বলেন, রায়গঞ্জ-ডালখোলা ফোর লেনের কাজ শেষ করা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নানা টালবাহানা চলছিল। আমরা এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসন ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার দরবার করেছি। আমরা চাই, দ্রুততার সঙ্গে এই কাজ শেষ হোক। এতে জেলার সড়ক পরিবহণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসবে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের মালদহ ডিভিশনের বাস্তুকার আরও বলেন, রায়গঞ্জ থেকে ডালখোলা পর্যন্ত ৪৫ কিলোমিটার জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ, বাইপাস নির্মাণ ও টোলপ্লাজা নির্মাণের জন্য ১০২৮ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। তবে কাজের গতি কমে যাওয়ায় খরচ কিছুটা বাড়বে। তবে আগামী বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এই কাজ শেষ হয়ে যাবে। আমরা সেই লক্ষ্যেই এগচ্ছি।