রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
শিলিগুড়ি শহরের উপকণ্ঠে ইস্টার্ন বাইপাসের জলেশ্বরী বাজারে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন সাতজন। ওই ঘটনার পর ১০ কিলোমিটারেরও বেশি লম্বা ইস্টার্ন বাইপাস রোডের ট্রাফিক ব্যবস্থা চাঙ্গা করার দাবি তোলেন বাসিন্দারা। তাঁদের সঙ্গে শিলিগুড়ির পুলিস কমিশনার গৌরব শর্মা কথাও বলেন। সেই মতো এদিন সংশ্লিষ্ট রাস্তার ট্রাফিক ব্যবস্থা ঢেলে সাজার কাজ শুরু হয়েছে। এদিন আশিঘর মোড়, জলেশ্বরী ব্রিজ, জলেশ্বরী বাজার, ভবেশ মোড়, গোড়া মোড় প্রভৃতি এলাকায় রিফ্লেক্টর, রোড রোলার, পথ নির্দেশিকা বোর্ড লাগানো হয়েছে। বোর্ডগুলিতে ‘সামনে মোড়, আস্তে চলুন’, ‘নো পার্কিং’ লেখা রয়েছে। আবার কোথাও ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ কর্মসূচির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কোথাও আবার যানবাহনের গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার নির্ধারণ করে বোর্ড ঝোলানো হয়েছে। কানকাটা মোড়, জলেশ্বরী ও নরেশ মোড়ে রাস্তার ধার থেকে সব্জির বাজার সরিয়ে দিয়েছে পুলিস। শিলিগুড়ি পুলিস কমিশনারেটের ট্রাফিক বিভাগের অফিসাররা বলেন, দুর্ঘটনা এড়াতে দু’দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট রাস্তার ট্রাফিক ব্যবস্থা চাঙ্গা করা হবে। রাস্তার গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলিতে ট্রাফিক পুলিসও মোতায়েন করা হয়েছে।
শিলিগুড়ি তো বটেই, গোটা উত্তরবঙ্গের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলির মধ্যে ইস্টার্ন বাইপাস অন্যতম। শিলিগুড়িতে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক এবং জলপাইগুড়িতে ৩১ ডি নম্বর জাতীয় সড়কের সঙ্গে রাস্তাটি সংযুক্ত। এই রাস্তার পাশে বাজার, বাড়ি, হাউজিং প্রভৃতি রয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে বালাসন সেতু দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ইস্টার্ন বাইপাসে যানবাহনের চাপ অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার জেলার বাস সহ সব ধরনের যানবাহন সংশ্লিষ্ট রাস্তা দিয়ে চলাচল করছে। ফলে, ফোর লেনের এই রাস্তা বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত রাস্তায় সেভাবে ডিভাইডার বসানো সম্ভব হয়নি। বহু জায়গায় রাস্তা দখল করে বাজার বসছে। এতে পূর্তদপ্তরের ভূমিকা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, পূর্তদপ্তরের উদাসীনতার জেরেই রাস্তাটি বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে।
পূর্তদপ্তরের (উত্তরবঙ্গ কনস্ট্রাকশন ডিভিশন) সূত্রে জানা গিয়েছে, নিয়ম অনুসারে এ ধরনের রাস্তায় ৪০০-৫০০ মিটার অন্তর ডিভাইডার করার কথা। এ ব্যাপারে পূর্তদপ্তরকে কাজ করতে দিচ্ছেন না স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। তাঁরা সংশ্লিষ্ট রাস্তার দু’পাশে নিজেদের ইচ্ছামতো ডিভাইডার তৈরি করেছেন। আর জবরদখল হটানো ও রাস্তায় আলো লাগানোর দায়িত্ব স্থানীয় পুলিস ও প্রশাসনের। পূর্তদপ্তরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার (উত্তরবঙ্গ কনস্ট্রাকশন ডিভিশন) ভাস্কর ঘোষ বলেন, ডিভাইডারের বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে বিস্তারিতভাবে জানানো হয়েছে। বাসিন্দারা সহযোগিতা করলেই দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করতে পরিকল্পনামাফিক ডিভাইডার তৈরি করা হবে। তবে, রাস্তায় আলো লাগানোর দায়িত্ব পূর্তদপ্তরের নয়।
এই অবস্থায় সংশ্লিষ্ট রাস্তায় পর্যাপ্ত আলো লাগাতে উদ্যোগী হয়েছে এসজেডিএ। এদিন এসজেডিএ’র চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, রাস্তাটি পরিদর্শন করেছি। এসজেডিএ’র ইঞ্জিনিয়াররাও সংশ্লিষ্ট রাস্তা ঘুরে দেখেছেন। তাঁদের রিপোর্ট পাওয়ার পর এই রাস্তায় আলো লাগানো হবে।