পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পুলিসি তদন্তে জানা গিয়েছে, তাদের চোখকে ধুলো দিতে পাচারকারীরা দফায় দফায় লরির নম্বর প্লেট বদল করতো। কখনও অসম কিংবা পাঞ্জাব, কখনও রাজস্থান বা উত্তরপ্রদেশের নম্বর প্লেট ঝুলিয়ে রাখত। আটক লরি থেকেই এমন তিনটি নম্বর প্লেট উদ্ধার হয়েছে। তার মধ্যে একটি পশ্চিমবঙ্গের, বাকি দুটি অসম ও রাজস্থানের। কিন্তু কেন এই নম্বর প্লেট বদলে পাচারের ছক? জেলা পুলিস ও আবগারি দপ্তরের আধিকারিকের বক্তব্য, অরুণাচল সহ কয়েকটি রাজ্যে মদের দাম তুলনামূলক কম। তাই পাচারকারীরা ওই সব রাজ্যের মদ বিহার, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান সহ আরও কয়েকটি রাজ্যে পাচার করে মুনাফা লোটে। আর পাচারের জন্য নিরাপদ উপায় হল নম্বর প্লেট বদল। কারণ পাচারকারীরা জানে সড়কপথে অসম থেকে বিহারের দূরত্ব হাজার কিলোমিটারের বেশি। ওই বিশাল দূরত্ব অতিক্রম করার আগেই যদি পুলিস জানতে পারে নির্দিষ্ট কোনও নম্বরের লরিতে মদ পাচার হচ্ছে, তাহলে সেটা সহজেই পুলিস এবং আবগারি দপ্তরের জালে ধরা পড়বে। কিন্তু দফায় দফায় নম্বর প্লেট পরিবর্তন হলে পুলিস বিভ্রান্ত হবে। কারণ জাতীয় সড়কে প্রতিদিন বহু লরি যাতায়াত করে।
পুলিস সূত্রে খবর,এছাড়াও পাচারের জন্য ভুয়ো চালান বা নথিও তৈরি করে পাচারকারীরা। শনিবার দুপুরে পাহাড়পুর মোড়ে আটক লরিটিও সেই প্রচেষ্টা চালিয়েছিল। কোতোয়ালি থানার পুলিস যখন গাড়িটি দাঁড় করায় তখন চালক নথি দেখিয়ে জানায় গাড়িতে কেমিক্যাল আছে। তাই তল্লাশি করতে সমস্যা হবে। কিন্তু পুলিস লরির পিছনে তল্লাশি চালাতেই ভিতরে থরে থরে সাজানো মদের পেটি নজরে পড়ে। এরপরই পুলিস লরিটি আটক করে থানায় নিয়ে আসে। ধৃতরা দিল্লির বাসিন্দা নরেশ কুমার শ্রীবাস্তব ও উত্তর প্রদেশের রামান কুমার।
জলপাইগুড়ির পুলিস সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, গোটা বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। নম্বর প্লেট বদলানোর বিষয় নিয়ে আরও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। জেলা পুলিসের ডিএসপি (হেড কোয়ার্টার) সমীর পাল বলেন, এদিন দুপুরে পাহাড়পুর থেকে লরি বোঝাই বেআইনি মদ সহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও একজনের খোঁজ চলছে। কয়েকটি ভুয়ো নম্বর প্লেটও উদ্ধার হয়েছে।
পুলিস ও জেলা আবগারি দপ্তর সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই চোরাকারবারিরা জয়গাঁ হয়ে এরাজ্যে মদ আনছে। সেখান থেকে আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, ফুলবাড়ি পেরিয়ে সড়কপথে উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলা হয়ে বিহার, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান পৌঁছে যাচ্ছে বিপুল পরিমাণ চোরাই মদ।