কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
পুলিসের দাবি, ধৃতের মধ্যযুগীয় বর্বরতা ও তন্ত্রসাধনার বলি হতে হয়েছে ওই কিশোরকে। তন্ত্রসাধনায় নাবালকের রক্ত কাজে লাগালে উদ্দেশ্য সফল হবে। এই কুসংস্কারের বশবর্তী হয়ে ওই পড়ুয়াকে বুড়ি তোর্সা নদীর ধারে শ্মশান এলাকায় নিয়ে যায় অভিযুক্ত ব্যক্তি। তার পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে। জেরায় ধৃত একথা স্বীকারও করেছে।
গত মঙ্গলবার বিকেলে ধৃতের শিশুপুত্রকে সাইকেলে চাপিয়ে বাড়ির পাশে রাসমেলা দেখতে যায় মনোজ। ধৃতের শিশুপুত্র মঙ্গলবার রাসমেলা থেকে থেকে বাড়ি ফিরে এলেও ওই কিশোর ফেরেনি। পুলিস তদন্তে নেমে বাবলু বাগচির শিশুপুত্রকে জেরা করেই এই খুনের রহস্যের কিনারা হয়। বাবলু বাগচির শিশুপুত্র পুলিসকে জানায়, মঙ্গলবার রাতে তাঁর বাবার সঙ্গে যায় ওই কিশোর। বুধবার মধ্য মেজবিল এলাকায় বুড়ি তোর্সা নদীর ধারে শ্মশান এলাকায় কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। শুক্রবার ভোরে ফাঁদ পেতে অভিযুক্ত বাবলু বাগচিকে পলাশবাড়ি এলাকায় প্রথমে আটক করে পুলিস। টানা জেরায় খুনের কথা স্বীকার করায় শুক্রবার রাতে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার ধৃতকে আলিপুরদুয়ার এসিজেএম-২ আদালতে তোলা হয়। পুলিসের আবেদনের ভিত্তিতে আদালত ধৃতকে ছ’দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। ধৃতকে দিয়ে পুলিস খুনের ঘটনার পুনর্নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এই খুনের তদন্তের জন্য পুলিস সুপার ভোলানাথ পাণ্ডে আলিপুরদুয়ারের এসডিপিও দেবাশিস চক্রবর্তীর নেতৃত্বে টিম তৈরি করে দেন। তদন্তে নেমে পুলিসও তাজ্জব হয়ে যায়। কারণ, পুলিসের ধারণাই ছিল না যে, এ ধরনের মধ্যযুগীয় কুসংস্কারের জেরে খুন হতে পারে। তবে মৃত কিশোরের সাইকেল ও খুনে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্রটি এখনও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিস। এসডিপিও দেবাশিস চক্রবর্তী বলেন, আদালত ধৃতকে ছ’দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হবে।