বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
৬১ নম্বর ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার ভলেন্দ্র ত্রিবেদী বলেন, আমরা পাচারের আগে গোরু সহ নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ, নেশার ট্যাবলেট ইয়াবা যেমন উদ্ধার করছি, তেমনই ওপার থেকে পাচার হয়ে আসা বহু সামগ্রী আটক করা হচ্ছে। আমরা সম্প্রতি কয়েকজনকে আটক করে পুলিসের হাতে তুলেও দিয়েছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, টাকার পরিবর্তে সামগ্রী আদানপ্রদানের মাধ্যমে এখন পাচারের কারবার চলছে। তবে সীমান্তে পাচার রুখতে সবসময় সজাগ বিএসএফ।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি সীমান্ত বরাবরই পাচারের স্বর্গরাজ্য বলে পরিচিত। কাঁটাতার কেটে হোক অথবা এপার থেকে ওপারে সামগ্রী ছুড়ে দেওয়া ছাড়াও নানা কৌশলে চোরাকারবারি পাচার চালিয়ে থাকে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে পাচারের বিনিময়ে টাকা হাত বদল করতে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। সেকারণে দুই দেশের পাচারকারীরাই এখন সামগ্রী আদানপ্রদানের মাধ্যমে পাচারের নয়া কারবার শুরু করেছে।
বাংলাদেশে নেশার ট্যাবলেট ইয়াবা কিংবা নিষিদ্ধ কাফ সিরাপের বিপুল চাহিদা। এপারের পাচারকারীরা সেই চাহিদা মেটাচ্ছে। কখনও পাচারের বিনিময়ে ওপার থেকে কিছু টাকা দেওয়া হচ্ছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পাচারের গোরু কিংবা নেশার ট্যাবলেটের পরিবর্তে চোরাপথে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে ইলিশ মাছ।
শীত পড়তেই কুয়াশার সুযোগ নিয়ে সীমান্তে পাচারের রমরমা শুরু হয়। সক্রিয় হয়ে ওঠে দু’দেশের পাচারকারীরাই। জানা গিয়েছে, ১০০ বোতল থেকে ২০০ বোতল নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ নিয়ে তৈরি থাকছে এপারের ছোট ও মাঝারি পাচারকারীরা। যার দাম প্রায় ৫০ হাজার টাকা। সুযোগ পেলেই পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে ওপারে। অন্যদিকে, ওপার থেকে এক একবারে প্রায় ৩০ কেজির মতো ইলিশ মাছ আসছে চোরাপথে। কখনও আবার গোরুর বদলে ওপার থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে সোনার বিস্কুট। সরকারের কর ফাঁকি দিতে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের অনেকে তা কিনেও নিচ্ছেন।