কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
জেলা পুলিস সুপার রাহুল দে বলেন, আমাদের কাছে একটি খবর আসে যে একটি বাড়িতে অবৈধভাবে নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ মজুত রয়েছে। সেই মতো শনিবার সকালে পুলিস হানা দিয়ে প্রায় দু’হাজার কাফ সিরাপ উদ্ধার করেছে। সেখান থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। সম্ভবত, সেখানে জাল কাফ সিরাপ তৈরি করা হতো। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ওই যুবকের নাম প্রশান্ত হালদার। ওই যুবকের বাড়ি শহরের খিদিরপুর এলাকায় হলেও পদ্মপুকুর এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থেকে ওই চক্র চালানো হতো। সম্ভবত তা ওই বাড়ির মালিকের নজরেও আসেনি বলে দাবি। এবিষয়ে ওই বাড়ির এক মহিলা সদস্য বলেন, আমরা আগে কাফ সিরাপ দেখেছিলাম। কিন্তু এগুলি যে অবৈধ তা বুঝতে পারিনি। তবুও সেগুলি রাখতে নিষেধ করেছিলাম। তাও শোনেনি। আজকে পুলিস আসায় সব পরিষ্কার হয়ে যায়। আগে বুঝতে পারলে কখনও এখানে রাখতে দিতাম না।
জানা গিয়েছে,ওই ভাড়া বাড়িতেই বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ মজুত রাখা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, ওই বাড়িতেই ফাঁকা কাফ সিরাপের বোতল, স্টিকার উদ্ধার হয়েছে। এছাড়াও পুলিস একটি মোটর সাইকেল উদ্ধার করেছে। বালুরঘাট সদরের ডিএসপি হেডকোয়ার্টার সোমনাথ ঝায়ের নেতৃত্বেই এই অভিযান চালায় পুলিস। স্থানীয়রা জানিয়েছে, ওই বাড়ি থেকে অনেকেই এসে ব্যাগে করে মাল নিয়ে যেত। এর ফলে পুলিসের অনুমান, ওই বাড়িতেই জাল কাফ সিরাপ তৈরি করা হয়। এবং তা বাংলাদেশে পাচার করা হতো। এদিকে ওই কাফ সিরাপ উদ্ধারের পরে সেগুলি জাল কি না তা যাচাই করতে ল্যাবে পাঠানো হবে বলে পুলিস জানিয়েছে। প্রসঙ্গত, বালুরঘাট শহর পেরলেই ডাঙ্গি সীমান্ত। সেখানে শীতের কুয়াশার সুযোগে পাচারচক্র সক্রিয় হয়ে ওঠে।