বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
নিউ আলিপুরদুয়ার থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত ডাবল লাইনের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। ইলেক্ট্রিক ইঞ্জিনে চলার জন্য এবার আলিপুরদুয়ার থেকে কলকাতা পর্যন্ত তিস্তা-তোর্সা এক্সপ্রেসের যাত্রার সময়ও অনেকটা কমে যাবে। রেল যাত্রীরা তাই খুশি।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ারের ডিআরএম দিলীপকুমার সিং বলেন, আমাদের ডিভিশন ও রেলযাত্রীদের কাছে খুবই খুশির খবর। বৃহস্পতিবার থেকে তিস্তা-তোর্সা এক্সপ্রেসের ইলেক্ট্রিক ইঞ্জিনে যাত্রা শুরু হয়েছে। আলিপুরদুয়ার ডিভিশন থেকে আরও কয়েকটি ট্রেনকে আগামিদিনে ইলেক্ট্রিক ইঞ্জিনে চালানোর পরিকল্পনা আছে।
এদিকে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের আরও পাঁচটি সেকশনে রেল লাইনে ইলেক্ট্রিফিকেশনের কাজ এখনও শুরু হয়নি। যদিও এ জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া রেল সম্পূর্ণ করেছে। ওই পাঁচটি রুট হল— আলিপুরদুয়ার জংশন-শিলিগুড়ি জংশন, নিউ কোচবিহার-চ্যাংরাবান্ধা, আলিপুরদুয়ার-বামনহাট, ধুবরি-কোকরাঝাড় ও ধুবরি-ফকিরাগ্রাম। টেন্ডার হওয়ায় আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের ওই পাঁচটি সেকশনেও দ্রুত ইলেক্ট্রিফিকেশনের কাজ শুরু হবে বলে রেল জানিয়েছে।
তিস্তা-তোর্সা ট্রেনটি আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ির মানুষের কাছে খুবই জনপ্রিয়। ট্রেনটি আগে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত ডিজেলেই ইঞ্জিনে চলত। সাত-আট মাস আগে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে নিউ কোচবিহার পর্যন্ত ট্রেনটি ইলেক্ট্রিক ইঞ্জিনে চালানো হচ্ছিল। নিউ কোচবিহারে এসে ট্রেনটির ইঞ্জিন বদল করা হচ্ছিল। এবার নিউ আলিপুরদুয়ার থেকেই সরাসরি ইলেক্ট্রিক ইঞ্জিনে ট্রেনটি চলবে।
অসম-বাংলা সীমান্তে উত্তরবঙ্গের প্রান্তিক জেলা আলিপুরদুয়ার থেকে কলকাতা যাওয়ার লাইফ লাইন এই তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস। ১৯৯২ সালে সি কে জাফর শরিফ রেলমন্ত্রী থাকাকালীন নিউ আলিপুরদুয়ার থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত তিস্তা-তোর্সা ট্রেনটি চালু হয়েছিল। ৩০ বছর পর অবশেগষে সেই ট্রেনের আধুনিকীকরণ হল।
এদিন দুপুরে নিউ আলিপুরদুয়ার স্টেশনে ইলেক্ট্রিক ইঞ্জিনে যাত্রার সময় তিস্তা-তোর্সা এক্সপ্রেস ছাড়ার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। সংশ্লিষ্ট ট্রেনের যাত্রীরা ছাড়াও এ উপলক্ষে স্টেশনে রেলকর্মী সহ অন্যান্য ট্রেনের যাত্রীরা ভিড় জমান। নিজস্ব চিত্র