কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
জেলা কৃষি দপ্তরের আবহবিদ কামাখ্যানাথ বসু বলেন, নিম্নচাপ অক্ষরেখাটি মালদহের উপর উপবৃত্তাকার পথে ঘুরে যায়। ফলে বিহারের দিক থেকে জলীয় বাষ্পপূর্ণ বাতাস জেলায় ঢুকে পড়ে। তা ইংলিশবাজারকে ছুঁয়ে হবিবপুর এবং বামনগোলা হয়ে উত্তরদিকে চলে যায়। সেই কারণে গত ২৪ ঘন্টায় চাঁচল (১১৮.৫ মিলিমিটার), গাজোল (১২০.২ মিলিমিটার), বামনগোলা (৯৮.৪ মিলিমিটার), পুরাতন মালদহের (৪৭.৩ মিলিমিটার) মতো জেলার উত্তর অংশের ব্লকগুলিতে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে। তুলনামূলকভাবে ইংলিশবাজার (২২.৮ মিলিমিটার) এবং কালিয়াচক-১ ব্লকে (২২ মিলিমিটার) কম বৃষ্টিপাত হয়। জেলার দক্ষিণ দিকে ক্রমশ বৃষ্টির পরিমাণ কমতে থাকে। তিনি আরও বলেন, কোনও এলাকার বৃষ্টির জল নামতে কিছুটা সময় লাগে। তা বিভিন্ন খালবিল হয়ে নিকটবর্তী নদীতে গিয়ে পড়ে। ফলে নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পায়।
উল্লেখ্য, গত দু’মাস ধরে গঙ্গা এবং ফুলহার নদী মালদহে বিপজ্জনকভাবে বয়ে গিয়েছে। ওই দুই নদীর ভাঙ্গনে বহু মানুষ ভিটেছাড়া হয়েছেন। ফুলহার মূলত রতুয়া এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। অন্যদিকে, গঙ্গার ভাঙ্গনে মানিকচক, মোথাবাড়ি, কালিয়াচক, বৈষ্ণবনগর এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পুজোর মুখে ওই দুই নদীর জলস্তর কমতে থাকায় তীরবর্তী এলাকার মানুষজন কিছুটা স্বস্তি পায়। এবারের মতো বিপদ কেটে গিয়েছে বলে তাঁরা মনে করেন। কিন্তু পুজোর পর ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটিতে তাঁরা উৎকন্ঠায় পড়েছেন। এখনও সেভাবে ভাঙ্গন শুরু না হলেও স্থানীয় বাসিন্দারা ‘সিঁদুরে মেঘ’ দেখতে শুরু করেছেন।
মানিকচকের বাসিন্দা তথাগত মণ্ডল, সীমা দাস বলেন, আমাদের ব্লক এলাকায় গঙ্গার ভাঙ্গন এবার মারাত্মক আকার ধারণ করেছিল। ফলে ফের জলস্তর বাড়তে থাকায় আমরা উদ্বিগ্ন। নতুন করে কী পরিস্থিতির সম্মুখিন হতে হবে তা জানি না। বৈষ্ণবনগরের বীরনগর এলাকার বাসিন্দা শেখ সাদ্দাম বলেন, ভাঙ্গনে গঙ্গার গর্ভে বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তলিয়ে গিয়েছে। বর্ষা বিদায় নেওয়ায় কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিলাম। কিন্তু বুধবার রাত থেকে নদীর যেভাবে জল বাড়ছে তাতে আমরা ফের শঙ্কিত। মালদহের বৈষ্ণবনগরে গঙ্গার জল বাড়তে শুরু করেছে। -নিজস্ব চিত্র