গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
রাসচক্রটি মদনমোহন মন্দিরে স্থাপন করার পর তার উচ্চতা দাঁড়াবে ৩৪ ফুট। বাঁশ দিয়ে মূল কাঠামোটি তৈরি করে তার উপরে রঙিন কাগজ সেঁটে এটি বানানো হয়। কোচবিহারের মহারাজারদের আমল থেকে এই নিয়ম চলে আসছে। কোচবিহারের ঐতিহ্যবাহী মদনমোহন মন্দিরের মাঠে রাসচক্র স্থাপন করা হয়। প্রতিবছর রাস উৎসবের সময় লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী পুণ্য লাভের আশায় রাসচক্র ঘোরান। রাসচক্র ঘোরানোর আগে হয় বিশেষ পুজো, যজ্ঞ। মদনমোহন মন্দিরের কর্মী জয়ন্ত চক্রবর্তী বলেন, নিয়ম মেনে রাসচক্র তৈরির কাজ কোজাগরী লক্ষ্মী পূর্ণিমার দিন শুরু হয়েছে। ঐতিহ্য মেনে আলতাফ মিঁয়া এ কাজ শুরু করেছেন। আলতাফ মিঁয়া বলেন, কোজাগরী পূর্ণিমার দিন থেকে রাসচক্র বানানোর কাজ শুরু করেছি। আগামী একমাসের মধ্যে এটি তৈরি করে ফেলব। তাই একমাস নিরামিষ আহার করব।
ঐতিহ্য মেনে কোজাগরী পূর্ণিমার দিন থেকে রাসচক্র বানানোর কাজ শুরু করে রাস উৎসবের আগে এই রাসচক্র নির্মাণ করা হয়। রাস উৎসবের আগের দিন আলতাফ মিঁয়া রাসচক্রটি মদনমোহন মন্দিরে নিয়ে আসেন। মন্দির ক্যাম্পাসে একটি খুঁটির মধ্যে রাসচক্রটি গড়ে তোলা হয়। রাস উৎসব ও রাস মেলায় যাঁরা আসেন তাঁরা সকলেই রাসচক্র ঘোরান। রাসচক্রে কাগজ দিয়ে নানান ধর্মীয় বিষয় ফুটিয়ে তোলা হয়। কোচবিহারের ঐতিহ্যবাহী রাসমেলায় প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হয়। মদনমোহন মন্দির সংলগ্ন রাস্তা ও রাসমেলার মাঠে এই মেলা বসে। সাধারণ মানুষ মদনমোহন মন্দিরে এসে মদনমোহনকে দর্শন করে রাসচক্র ঘুরিয়ে তারপর মেলায় যান। একমাস ধরে আলতাফ মিঁয়া নিজের বাড়িতে বসেই রাসচক্রটি তৈরি করবেন। তাঁর পরিবারের সদস্যরাও এটি তৈরির কাজে তাঁকে সহায়তা করেন।