গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে ৪৫০টি টোটোকে নম্বর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে শহর কয়েক হাজার টোটো চলছে। এর আগে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান চালিয়ে নম্বর বিহীন টোটো আটক করা হয়েছিল। তারপর থেকে অনেকেই টোটোতে ভুয়ো নম্বর প্লেট ব্যবহার করছে। একই নম্বরের চার-পাঁচটি করে টোটো চলছে বলে খোদ পুর কর্তৃপক্ষই জানিয়েছে। শহরের বাইরে থেকেও প্রচুর টোটো প্রতিদিন আসে। এই বিপুল সংখ্যক টোটো চলচলের ফলে যানজটও তীব্র আকার নিচ্ছে। শহরের রাস্তা যানজট মুক্ত করতে নম্বর বিহীন টোটোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলেছে পুরসভা কর্তৃপক্ষ।
পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান মানিক দত্ত বলেন, শহরকে যানজট মুক্ত করতে আমরা টোটোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলেছি। ২৫ অক্টোবর অফিস খুলবে। ২৬ তারিখ থেকেই এই বিষয়ে কাজ শুরু হবে। বিভিন্ন গ্রাম থেকে প্রচুর সংখ্যক টোটো শহরে আসে। সেগুলিকে শহরে ঢুকতে দেওয়া হবে না। কয়েক বছর আগে পুরসভা থেকে ৪৫০টি টোটোকে নম্বর দেওয়া হয়েছি। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে একই নম্বরের চার-পাঁচটি করে টোটো চলছে। এজন্য আমরা অ্যাপস চালু করতে চলেছি। সেই সঙ্গে নম্বর প্লেটও পরিবর্তন করা হবে। বারকোড যুক্ত নম্বর প্লেট দেওয়া হবে। এজন্য টোটো চালকদের কাছ থেকে কিছু ফি নেওয়া হবে। অ্যাপের মধ্যমে টোটোর নম্বর, চালকের পরিচয় সহ যাবতীয় তথ্য জানা যাবে। এই ব্যবস্থার ফলে কেউ ভুয়ো নম্বর প্লেট ব্যবহার করলে চিহ্নিত করা সহজ হবে। আমরা তখন সেইমতো পদক্ষেপ করতে পারব।
বাসিন্দারা বলছেন, শহর যানজট মুক্ত কারার লক্ষ্যে এর আগে মহকুমা শাসক সপ্তর্ষি নাগ পদক্ষেপ করেছিলেন। গত আগস্টে পুরসভার প্রশাসন, ট্রাফিক ডিএসপি, পিডব্লুডি (রোড) ও আঞ্চলিক পরিবহণ দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করেন। যত্রতত্র পার্কিং, অবৈধ টোটো চলাচল, অবৈধ ভাবে টোটো তৈরি, ফুটপাত দখলমুক্ত করা, দ্রুতগতিতে বাইক চলাচল আটকান সহ বিভিন্ন বিষয়ে অভিযানে নামার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এরপর ট্রাফিক পুলিস ও আঞ্চলিক পরিবহণ দপ্তর অবৈধ টোটোর বিরুদ্ধে একদিন অভিযান করেছিল। সেই অভিযানে ৩০টি টোটোও আটক করেছিল। কিন্তু সেই অভিযান রুটিন মাফিক চলেনি। ফলে পরিস্তিতি যা ছিল তাই আছে। এবার পুরসভা কর্তৃপক্ষ টোটোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলেছে। বাস্তবে কতটা কার্যকর হয় সে দিকেই তাকিয়ে আছে শহরের বাসিন্দারা।