গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
ক্রান্তি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পঞ্চানন রায় বলেন, সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চাপাডাঙা। তিস্তার জল বেড়ে গিয়ে পলাশ মোড় থেকে চাপাডাঙা ১১ কিমি রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কারণ রাস্তার বেশিরভাগ অংশই তিস্তার জলের তলায় রয়েছে। এছাড়াও ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে। গোটা এলাকায় পরিদর্শন করে ক্ষয়ক্ষতির হিসেব করে করছি। জেলা প্রশাসনকে সেই রিপোর্ট পাঠানো হবে। প্রসঙ্গত, ক্রান্তি ব্লকের চাপাডাঙার পশ্চিম সাঙ্গোপাড়া, সাঙ্গোপাড়া, বাসুসুবার অধিকাংশ বাড়িই জলমগ্ন হয়ে আছে। মৌলানি, চেংমারি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ধান চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তিস্তা জল বাড়ায় নদীর জল অনেক বাড়িতে এখনও দাঁড়িয়ে আছে। এদিকে চেংমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের কুলনাই নদীর জল বেড়ে গিয়ে হাউসক্যাম্প, পূর্ব ও পশ্চিম দলাইগাঁও, কোরইবাড়ি এলাকার প্রচুর বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এলাকার ধান, আলু, ফুলকপি, বাঁধাকপির খেত এখন জলের তলায় রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা লুতফর রহমান, আবু সায়েদ, তোফাজ্জল হুসেনের মতো কৃষকরা বলেন, জমির সব ফসল নষ্ট হয়েছে। এখন কী করে চলবে জানি না। এদিন দুর্গত এলাকায় আসেন ক্রান্তির বিডিও, মন্ত্রী বুলুচিক বড়াইক। তাঁরা এলাকায় পরিদর্শন করেন পাশাপাশি দুর্গত পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলেন। মন্ত্রী তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। অন্যদিকে মেটেলি ব্লকের উত্তর ধূপঝোড়া থেকে জয়ন্তি যাওয়ার রাস্তায় ধসে গিয়ে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ওই এলাকায় প্রায় ২০০টি পরিবার বসবাস করে।