বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
তোর্সার পাশাপাশি তুফানগঞ্জের রায়ডাক-১ নদীতেও জল বাড়ছে। তবে মাথাভাঙার মানসাই নদীতে জল বাড়লেও এদিন বিকেল থেকে জলস্তর স্থির রয়েছে বলে সেচদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। এদিকে দিনভর বৃষ্টির কারণে কোচবিহারে জনজীবন কার্যত বিপর্যস্ত হয়। বৃষ্টি বিঘ্নিত দিনে ঘরে ঘরে লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন করতে গিয়েও গৃহস্থরা সমস্যায় পড়েন। লাগাতার বৃষ্টির কারণে মাঠে থাকা সব্জি ও আমন ধানের ক্ষতি হতে পারে বলে জেলা কৃষিদপ্তর জানিয়েছে। কোচবিহার জেলা সেচদপ্তরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার শুভজিৎ মণ্ডল বলেন, এদিন বিকেলে তোর্সার অসংরক্ষিত এলাকাগুলিতে হলুদ সঙ্কেত জারি করা হয়েছে। আমরা তোর্সা সহ জেলার অন্যান্য সমস্ত নদীবাঁধের উপরেই নজর রাখছি। তবে কোনও জায়গা থেকে বাঁধ ভাঙার খবর আসেনি। তোর্সা নদীর চর সংলগ্ন কিছু এলাকায় জল ঢুকেছে। কোচবিহার পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন মীনা তর বলেন, ফাঁসিরঘাটে বাঁধের পাড়ের বাসিন্দাদের সঠিক সময়ে যাতে সরিয়ে নেওয়া যায় তারজন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আমরা এলাকায় মাইকিংও করেছি। কোচবিহার শহর সংলগ্ন তোর্সা নদীতে মঙ্গলবার থেকেই জল বাড়ছিল। বুধবার তা ভয়াবহ আকার নেয়। এদিন সকাল থেকে নদী সংলগ্ন চরে বসবাসকারী বহু লোকের বাড়িতে জল ঢুকে যায়। অনেকেই বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নেন। সেচদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুর ৩টের সময়ে তোর্সার কেশব আশ্রম এলাকায় জলস্তর ছিল ৪২.১০ মিটার। মাথাভাঙার মানসাইতে ৪৭.৬৩ ও তুফানগঞ্জের রায়ডাক-১ নদীতে জলস্তর ছিল ৩২.২১ মিটার। তোর্সার পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে কোচবিহার পুরসভা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে শহরের সদর গভর্নমেন্ট হাইস্কুল ও টাকাগছ সংলগ্ন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়কে প্রস্তুত রেখেছে। প্রয়োজন হলে যাতে সেখানে চর সংলগ্ন বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। তোর্সায় জল বাড়ার কারণে শহরের সঙ্গে সংযুক্ত লকগেটগুলিকে বন্ধ রাখা হয়েছে।