বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিন সকাল থেকেই ইংলিশবাজার শহরে বিসর্জন পর্ব শুরু হয়। সকাল থেকে বারোয়ারী মণ্ডপগুলিতে চলে চূড়ান্ত প্রস্তুতি। বেশকিছু বাড়ির পুজোর প্রতিমাও এদিন বিসর্জন করা হয়। বাড়ির প্রতিমার বিসর্জনের শোভাযাত্রায় মহিলাদের উপস্থিতি বেশি ছিল। বারোয়ারী পুজোর উদ্যোক্তাদের ক্লাব ভিত্তিক একই রঙের পাঞ্জাবি পরে বিসর্জনের শোভাযাত্রায় অংশ নিতে দেখা যায়। মহিলারা লাল পাড়ের শাড়ি পরিহিত অবস্থায় মাথায় ঘট নিয়ে বিসর্জন শোভাযাত্রায় অংশ নেন। অন্যান্য দিনের মতো এদিনও ইংলিশবাজার শহরে মহানন্দা নদীর মিশন ঘাট, সদর ঘাটে পুরসভার কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। নদীর দূষণ এড়াতে তাঁরা পুজোর সামগ্রী উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট জায়গায় জমা রেখে দেন। নদীতে তেমন কিছু ফেলতে বারবার উদ্যোক্তাদের নিষেধ করা হয়।
অন্যদিকে, এদিন উত্তর মালদহের একাধিক ব্লকে বিসর্জন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এদিন সকাল থেকেই পুরাতন মালদহ থেকে চাঁচল, গাজোল হবিবপুরে কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে মা দুর্গার নিরঞ্জন প্রক্রিয়া চলে। বিকেলের মধ্যে প্রায় সিংহভাগ প্রতিমা বিসর্জন হয়ে যায়। পুরাতন মালদহ শহরের মহানন্দা নদীর প্রথম সেতুর নিচে কেন্দ্রীয়ভাবে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের জন্য বন্দোবস্ত করে পুলিস ও প্রশাসন। পুজোর বিসর্জন ঘিরে অশান্তি এড়াতে পর্যাপ্ত পুলিসও মোতায়েন করা হয়। মহানন্দা নদীর ঘাট থেকে প্রায় ৫০০ মিটার এলাকা দড়ি দিয়ে ঘিরে যান নিয়ন্ত্রণ করে পুলিস। শুধু পুরাতন মালদহের শহরে রবিবার সকাল থেকে ৫০টিরও বেশি প্রতিমা মহানন্দা নদীর ঘাটে বিসর্জন হয়। মালদহ থানার আইসি হীরক বিশ্বাস বলেন, রবিবার নির্বিঘ্নে পুজোর বিসর্জন প্রক্রিয়া চলেছে। কোথাও কোনও বিশৃঙ্খলা হয়নি। বিভিন্ন ঘাটে আমরা পর্যাপ্ত পুলিস মোতায়েন করেছি।