পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এলাকাবাসীর বক্তব্য, বছর দশেক আগে রাস্তাটি শেষবার মেরামত করা হয়েছিল। তারপর থেকে বৃষ্টি, জমা জলের কারণে পিচ উঠে গিয়ে রাস্তার পুরোটাই ভেঙে গিয়েছে। বেহাল রাস্তায় প্রায়দিন দুর্ঘটনা ঘটছে। বেসনদারির বাসিন্দা জিল্লুর রহমান বলেন, বহুদিন আগেই দাসপাড়া থেকে আড়াইটাকি পর্যন্ত পাঁচ কিমি রাস্তা ভেঙে গিয়েছে। আমরা স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান, এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যকে জানিয়েছি। কিন্তু, কাজ কিছু হল না। দাসপাড়া, সনপুকুরিপাড়া, মৌলবীপাড়া, নামাজিপাড়া, বাবুপাড়া, গোমস্তপাড়া, বিশ্বাসপাড়ার মতো প্রায় ১০টি পাড়ার লোকজনের ব্যবহারের জন্য একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা এটি। স্কুল, হাসপাতাল, থানা যেখানেই যাওয়ার হোক না কেন, এই রাস্তা মূল যাতায়াতের মাধ্যম। আরেক বাসিন্দা বুলেট রহমান বলেন, গত একমাসে অন্তত সাতটি দুর্ঘটনা এই বেহাল রাস্তার কারণে ঘটেছে। বাইক, টোটো, ভ্যানরিকশ উল্টে গিয়ে রাস্তার পাশের নয়ানজুলিতে পড়েছে। পুজোর মধ্যেই আটবস্তা ধান বোঝাই একটি ভ্যান রাস্তার ধারের ডোবায় উল্টে যায়। আমরা রাস্তা সারাইয়ের দাবি জানিয়ে গণস্বাক্ষর সংবলিত একটি দাবিপত্র জেলা পরিষদে এরমধ্যেই জমা দেব। বুলবুল রহমান বলেন, কিছুদিন আগে কাদোবাড়ি হল্ট স্টেশন সংলগ্ন রাস্তাটি দিয়ে সাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় পড়ে গিয়েছিলাম। গুরুতর চোট পেয়ে ১৫ দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয়েছিল। আমাদের এই ভাঙা রাস্তাটি মেরামতের পাশাপাশি রাস্তার জল যাওয়ার জন্য একটি কালভার্ট আছে সেইটিও দ্রুত মেরামতের প্রয়োজন। মণ্ডলঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রদীপ দাস বলেন, গ্রামের কয়েকটি রাস্তা সারাইয়ের জন্য স্থানীয় বিধায়ক ডাঃ প্রদীপ বর্মার কাছে একটি তালিকা পাঠিয়েছি। তারমধ্যে এই রাস্তাটিও রয়েছে। বিধায়ক জানিয়েছেন, বিষয়টি তিনি দেখছেন। জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি দুলাল দেবনাথ বলেন, সমস্যার কথা শুনেছি। পরিষদ রাস্তা মেরামত করার ব্যাপারে আন্তরিক। যাতে রাস্তাটি সারাই হয় সেটা দেখব।