কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ গিরীশচন্দ্র বেরা রবিবার বলেন, করোনা রোগী শূন্য হওয়ায় পুজোর আগেই তপসিখাতা কোভিড হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জেলার সবক’টি সেফহোমও বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু, পুজোর দিনগুলিতে কোভিড বিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মানুষের বেলাগাম আচরণে আমরা চরম শঙ্কিত। তাই নিশ্চিন্তে বসে থাকার সময় নেই। সোমবার থেকে জেলায় দৈনিক ৮০০ জনের সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ করে কোভিড টেস্ট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরিস্থিতি দেখে টেস্টের দৈনিক টার্গেট আরও বৃদ্ধি করা হতে পারে। কোভিড হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তপসিখাতা কোভিড হাসপাতালটি সাফসুতরো করার কাজ শুরু করা হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৬ অক্টোবর শনিবার পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৬৪। তারমধ্যে ৬৩ জনই রয়েছেন হোম আইসোলেশনে। একজন সংক্রামিতের চিকিৎসা চলছে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে। ১২০ বেডের তপসিখাতা কোভিড হাসপাতালে একজনও করোনা রোগী ভর্তি নেই। স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কোভিড-১৯ পরিস্থিতি শুরুর সময় থেকে জেলায় এখনও পর্যন্ত ১৫ হাজার ৫২৬ জন সংক্রামিত হয়েছেন। জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১০১ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু, জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের করোনা চিকিৎসার ভূমিকায় এবং মানুষ সতর্ক থাকায় পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। কিন্তু, পুজোর সময় যেভাবে রাস্তায়, মণ্ডপে, প্রতিমা নিরঞ্জনের নদীঘাটে মানুষের ভিড় হয়েছে, সেটাই চিকিৎসক মহলকে ভাবাচ্ছে।
এদিকে, জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের কোভিড-১৯ টিকাকরণ কর্মসূচিও এগচ্ছে। স্বাস্থ্যদপ্তর জানিয়েছে, ১৬ অক্টোবর শনিবার পর্যন্ত জেলায় প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৮ লক্ষ ২১ হাজার ৬৩৯ জন। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২ লক্ষ ৯১ হাজার ৩৭৬ জন। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কাজ সম্পূর্ণ করাকে এখন প্রাধান্য দিয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তর।
আলিপুরদুয়ার জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের এক কর্তা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, উৎসবে মানুষের বেলাগাম আচরণ সবকিছুকে একধাক্কায় যেন ভণ্ডুল করে দিল। এর মাশুল কতটা দিতে হবে, সেটা আর এক সপ্তাহের মধ্যেই বোঝা যাবে। তাই যত বেশি সম্ভব, মানুষের সোয়াব টেস্ট করে সংক্রামিতদের চিহ্নিত করে এখনই পৃথক করা না গেলে পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে যাবে বলে মনে করছে চিকিৎসক মহল।