পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ইংলিশবাজার শহরে দশমীতে প্রতিমা নিরঞ্জনকে কেন্দ্র করে উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গিয়েছে। ঢাকের তালে পুজো উদ্যোক্তাদের কোমর দোলাতে দেখা যায়। জায়গায় জায়গায় চলে সিঁদুর খেলা। মহিলারাও সমানতালে বিসর্জনের শোভাযাত্রায় অংশ নেন। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বিশাল পুলিস বাহিনী শহরজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছিল। মহানন্দা নদীতে দূষণ রোধে ইংলিশবাজার পুরসভাও সজাগ ছিল। পুরসভার প্রশাসক সুমালা আগরওয়াল বলেন, শহরের সদরঘাট, মিশনঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জন হয়। আমরা এবার নদীর জলে প্রতিমার কাঠামো এবং ফুল সহ পুজোয় ব্যবহৃত অন্যান্য সামগ্রী ফেলতে দিইনি। পুরসভার কর্মীরা সেগুলি উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট জায়গায় যথাযথ আচার মেনে রেখে দেন। ফলে নদীর জলে কোনও কিছু ভাসতে দেখা যায়নি।
অন্যদিকে, প্রতিমা নিরঞ্জনে মালদহ থানার পুলিস বিশেষ উদ্যোগ নেয়। দুর্ঘটনা এড়াতে বাঁশের ব্যারিকেড করে নদীঘাট ঘিরে ফেলা হয়। প্রতিমা সরাসরি মাঝ নদীতে নিয়ে চলে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। পাশাপাশি নদীতে নৌকা নিয়ে নজরদারি চালানো হয়। মালদহ থানার আইসি হীরক বিশ্বাস বলেন, সুষ্ঠুভাবে বিসর্জন পর্ব সম্পন্ন করতে সব ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুরাতন মালদহ শহরের পাশাপাশি চাঁচল, গাজোল হরিশ্চন্দ্রপুর, রতুয়া হবিবপুর, বামনগোলা সর্বত্রই দশমীর দিন থেকে বিসর্জন শুরু হয়েছে।
এদিকে, পুলিস ও প্রশাসনের কঠোর নিরাপত্তা বজায় রেখে বিসর্জনের কাজ সম্পন্ন হয় বালুরঘাটে। প্রথম দিনেই আত্রেয়ীর সদরঘাটে ১১১টির বেশি প্রতিমা নিরঞ্জন হয়। শনিবারও বেশকিছু প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। বিসর্জন ঘিরে পুরসভার তরফে ঘাটে সবরকম ব্যবস্থা করা হয়। ক্রেনের মাধ্যমে নদীবক্ষ থেকে কাঠামো তোলা হয়। এছাড়াও বিপর্যয় মোকাবিলা টিমের তরফে বোট নামানো হয়। ভিড় এড়াতে কল্যাণীঘাটের মুখে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিস সুপার মহম্মদ নাসিব, ডিএসপি হেড কোয়ার্টার সোমনাথ ঝা, আইসি অসীম গোপ সহ অন্যান্যরা। এদিকে বিসর্জন দেখতে বালুরঘাট থানা মোড়, সদরঘাট সহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় মানুষের ভিড় উপচে পড়ে।
গঙ্গারামপুর ও বুনিয়াদপুর শহরেও শুক্রবার বেশিরভাগ প্রতিমার বিসর্জন হয়েছে। গঙ্গারামপুর পুরসভার পক্ষ থেকে পুনর্ভবা নদীর শিবমন্দির ঘাটে বিসর্জনের ব্যবস্থা করা হয়। বুনিয়াদপুর শহরের টাঙ্গন নদীর পালপাড়া ঘাটে প্রতিমা বিসর্জনের ব্যবস্থা করে পুরসভা।
অন্যদিকে, বিসর্জনকে ঘিরে রায়গঞ্জের কুলিক নদীর বন্দর ও খরমুজা ঘাটে ব্যাপক ভিড় ছিল। রায়গঞ্জ পুরসভার কাউন্সিলার অভিজিৎ সাহা বলেন, শুক্রবার বন্দর ঘাটে ৭২টি ও খরমুজা ঘাটে ৫৮টি প্রতিমা নিরঞ্জন হয়। অর্ধেকেরও বেশি পুজো কমিটি এখনও প্রতিমা নিরঞ্জন করেনি। শনিবার ও রবিবার সেগুলির নিরঞ্জন সম্পন্ন হবে। ইসলামপুরেও নির্বিঘ্নে প্রতিমা বিসর্জন পর্ব চলেছে শুক্রবার রাত ব্যাপী। এজন্য পুরসভা, পুলিস ও মহকুমা প্রশাসন সদর্থক ভূমিকা নিয়েছে। ইসলামপুর পুরসভা এলাকায় ৩৯টি পুজো হয়। এর মধ্যে শুক্রবার রাতে ৩৩টি প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে সুকান্তপল্লির হাসপাতালের পিছনের পুকুরে। পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান মানিক দত্ত বলেন, আগে থেকেই পুকুরটি পরিষ্কার করা হয়েছিল। বিসর্জনের জন্য পুরসভার পক্ষ থেকে ভলান্টিয়ার ছিল ও পর্যাপ্ত লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।রাতেই ৩৩টি প্রতিমার বিসর্জন হয়েছে। কয়েকটি পুজো কমিটি স্থানীয় জলাশয়েই প্রতিমা বিসর্জন করেছে। নিজস্ব চিত্র