রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
মাথাভাঙা পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান লক্ষপতি প্রামাণিক বলেন, আমরা গতমাসেও অভিযানে নেমে লোকজনকে সচেতন করেছিলাম। কিছুদিন জরিমানা বন্ধ রাখা হয়েছিল। এদিন থেকে ফের মাস্ক না পরাদের বিরুদ্ধে ১০০ টাকা জরিমানা আদায় শুরু করেছি। মাস্ক ব্যবহার করতেই হবে। পুজোর বাজার করতে প্রচুর মানুষ বাড়ির বাইরে বেরচ্ছে। এমন অবস্থায় লোকজন সচেতন না হলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণে সচেতন ও সতর্ক করতে জরিমানা আদায়ের পথে হাঁটতে হচ্ছে। ধারাবাহিকভাবে এই অভিযান চলবে। মাথাভাঙার মহকুমা শাসক অনিন্দ্যকুমার হাজরা বলেন, শহরে সচেতনতা বৃদ্ধিতে এর আগেও বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। জরিমানা আদায় করার পর মাস্ক ব্যবহার বেড়েছিল। সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে লোকজন খুব কম মাস্ক ব্যবহার করছে। এতে কোভিডের সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। তাই এদিন থেকে পুরসভার সঙ্গে অভিযান শুরু করা হয়। ৩০ জন মাস্কহীন ব্যক্তিকে জরিমানা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, মাথাভাঙা মহকুমার তিনটি ব্লকের মানুষ মাথাভাঙা শহরে প্রতিদিন নানা কাজে আসে। পুজোর বাজার করতেও গ্রামীণ এলাকার লোকজন শহরে আসছে। কোভিড-১৯ সংক্রমণ পুরোপুরি এখনও যায়নি। তাই এ ব্যাপারে গাছাড়া মনোভাব বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই অসচেতনতার পাশাপাশি জরিমানা আদায় করে প্রশাসন লাগাম টানতে চাইছে। প্রশাসনের দাবি, বিভিন্নভাবে এ ব্যাপারে সচেতনতা প্রচার চালানো হচ্ছে। হাটেবাজারে মাইকিং করে, ফ্লেক্স লাগিয়ে প্রচার চলছে। তারপরও শহরজুড়ে অসচেতনতার ছবি চোখে পড়ছে। বাধ্য হয়ে এদিন পুরসভা মহকুমা প্রশাসন ও পুলিসকে নিয়ে পথে নামে। জরিমানা আদায় শুরু হয়। এদিন যাঁদের জরিমানা করা হয় তাঁদের হাতে পুরসভা মাস্কও তুলে দেয়।
পুরসভার দাবি, পুজোর দিনগুলিতে যাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে সেই জন্যই সচেতনতা বৃদ্ধিতে জোর দেওয়া হচ্ছে। এখন থেকে প্রতিদিন শহরের হাটেবাজারে, বাণিজ্যিক এলাকায় অভিযান চলবে। মাস্ক না পরলে ১০০ টাকা করে জরিমানা আদায় করা হবে। শহরের সর্বত্রই পুরসভা, প্রশাসন ও পুলিসের টিম এই অভিযান চালাবে।