পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এদিন মাটিগাড়া ব্লকের পাথরঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতে মহাযোগদান শিবিরের আয়োজন করে তৃণমূল। পাঁচকলগুড়িতে একটি কমিউনিটি হলে শিবিরটি হয়। তৃণমূল সূত্রের খবর, শিবিরে বিজেপির রাজ্য নেতা ছাড়াও দু’জন প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য, ৩০ জন বুথ সভাপতি এবং ৮০০ জন কর্মী-সমর্থক যোগ দেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে স্বাগত জানান তৃণমূল নেতারা। অনুষ্ঠানে তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি (সমতল) পাপিয়া ঘোষ, প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেব, দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। দলবদল কর্মসূচির মঞ্চে তৃণমূলের শোকজ হওয়া নেতা হাজির থাকায় বিতর্ক ছড়ায়।
বিজেপি ছুটদের মধ্যে দিলা শৈব্য উল্লেখযোগ্য। দীর্ঘ ১৫ বছর তিনি পাথরঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচিত সদস্য ছিলেন। একদা বিজেপির শিলিগুড়ি যুব মোর্চার জেলা সভাপতি, এসটি মোর্চার জেলা সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। দু’বার বিধানসভা নির্বাচনে তিনি বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন। বর্তমানে বিজেপির স্টেট কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন। তিনি জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াইয়ে অনুপ্রাণিত হয়ে এবং মানুষের সেবা করতেই তৃণমূলে যোগ দিলাম।
এদিন চা বাগান ঘেরা নকশালবাড়ি ব্লকের বাগডোগরাতে আরএকটি মহাযোগদান শিবির করে তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেল। হরেকৃষ্ণ কলোনির মাঠে আয়োজিত শিবিরে সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী গোলাম রাব্বানি, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, সংসদ সদস্য শান্তা ছেত্রি, তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ, দলের জেলা চেয়ারম্যান অলোক চক্রবর্তী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন উৎসবের মেজাজে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ৩০০০ মানুষ দলে যোগ দিয়েছেন। এর বাইরে বিজেপি সহ বিভিন্ন দলের শতাধিক কর্মী-সমর্থক শিবিরে যোগ দেন। যোগদানকারীরা বলেন, পিছিয়ে পড়া এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের জন্য ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই তৃণমূলে শামিল হয়েছি। দলের জেলা সভানেত্রী (সমতল) বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি সমাজকর্মীরাও তৃণমূলে আসতে চাইছেন। এ ধরনের কর্মসূচি আরও করা হবে।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই শিলিগুড়ি শহরের সিপিএমের প্রাক্তন দুই কাউন্সিলার সহ বিজেপির রেলওয়ে শ্রমিক সংগঠনকে দলে টেনেছে তৃণমূল। এদিন ফের বিজেপিতে ধস নামায় রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তথা মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মন অবশ্য বলেন, দলে দিলা শৈব্য বহুদিন ধরে নিষ্ক্রিয় ছিলেন। তিনি সহ হাতেগোনা কয়েকজন তৃণমূলে গিয়েছেন। এতে বিজেপির কোনও ক্ষতি হবে না।