কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুরাতন মালদহ শহরের মঙ্গলবাড়ির বাসিন্দা বিনয় ঘোষ বলেন, অনলাইনে পুর পরিষেবা চালু হয়ে গেলে নাগরিক পরিষেবার মান বাড়বে। কারণ অনেক সময়েই পরিষেবা নিতে গিয়ে নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সেটি অনলাইনের আওতায় থাকলে নির্বিঘ্নে কর্মস্থলে থেকেও ট্যাক্স জমা দেওয়া থেকে বিল্ডিং প্ল্যান পাশ করান যাবে। এবিষয়ে পুরাতন মালদহ পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের অন্যতম সদস্য পরিতোষ ঘোষ বলেন, একটি ক্লিকে পুর পরিষেবা প্রকল্প আমরা চালু করতে যাচ্ছি। ট্রেড লাইসেন্স, হোল্ডিং ট্যাক্স থেকে মিউটেশন সমস্ত কিছু অনলাইনের আওতায় এনে নাগরিকদের পরিষেবা দেওয়া হবে। এটি রাজ্য সরকারের পুর পরিষেবা সংক্রান্ত অন্যতম প্রকল্প। নাগরিকদের সুবিধার্থে আমরা সেটি বাস্তবায়িত করছি। ইতিমধ্যে আংশিকভাবে কিছু পরিষেবা আমরা চালু করেছি। আর কিছুদিনের মধ্যেই সমস্ত পুর পরিষেবা অনলাইনের আওতায় আনা যাবে। এনিয়ে পুরকর্মীরা কাজ করছেন। পুজোর আগেই সমস্ত ই-পরিষেবা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এবিষয়ে পুরাতন মালদহ পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার শুভ্র দাস বলেন, এবার থেকে পুরসভায় অফলাইনে আর কাজ হবে না। পুর পরিষেবা সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ অনলাইনে ই -পরিষেবার মাধ্যমে প্রদান করা হবে। আমরা এই পরিষেবা সম্পূর্ণরূপে চালু করতে চলেছি। ইতিমধ্যে ই-মিউটেশন, ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া শুরু করা হয়েছে। বাকিগুলো ধীরে ধীরে পরিষেবার আওতায় আনা হবে। যাঁরা নতুন ভাবে পরিষেবা নিতে আসছেন তাঁদের এবিষয়ে অবগত করা হচ্ছে। পুরাতন মালদহ শহর তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম নেতা মনতোষ সাহা বলেন, পুরসভায় ই-পরিষেবার ভাবনা সরকারের ভালো পদক্ষেপ। তবে যাঁরা ইন্টারনেটের ব্যবহার জানেন না তাঁদের জন্য পুরসভা থেকে একটি কর্মশালা করলে সকলে ই-পষিষেবা সম্পর্কে অবগত হবেন। এবিষয়ে মালদহ জেলা মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্সের সম্পাদক জয়ন্ত কুণ্ডু বলেন, পুরসভায় এই পরিষেবা বর্তমান সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলার একটা প্রয়াস। এধরনের উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। তবে এটি লোক দেখানো যাতে না হয় সেটা খেয়াল রাখতে হবে। ই- পরিষেবার ধারাবাহিকতা বজায় থাকা জরুরি। না হলে প্রকল্পের বাস্তবায়ন সঠিক হবে না।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে পুরদপ্তর নাগরিক পরিষেবার মান বাড়াতে ই-পরিষেবা প্রকল্প এনেছে। এই প্রকল্পে একটি ক্লিকেই ই- মিউটেশন, ই-ট্রেড লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্স রিনিউয়াল, এক জানালা পদ্ধতিতে বিল্ডিং প্ল্যানের অনুমোদন, ই- ট্যাক্স পে , ই -বার্থ সার্টিফিকেট সহ একাধিক পরিষেবা মিলবে। আগে এই সমস্ত পরিষেবা অফলাইনে পুরসভায় গিয়ে পেতেন বাসিন্দারা। এতে সময় নষ্ট হতো। এবার থেকে নাগরিকদের হাতের মুঠোয় পরিষেবা এনে দিতে এধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ই-পরিষেবা সম্পূর্ণরূপে চালু হলে যে কোনও দোকান ব্যবসায়ী, প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার তাদের রেজিস্ট্রেশন সহ নতুন ট্রেড লাইসেন্স পেয়ে যাবে। তেমনি বাসিন্দারা বাড়িতে বসেই হোল্ডিং ট্যাক্স মেটাতে পারবেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নতুন এই পদ্ধতি পুরোপুরি চালু হয়ে গেলে বাসিন্দাদের আর ভোগান্তি পোহাতে হবে না। এতে পুরসভার আয়ও বেড়ে যাবে।