বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
জেলা খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক রমেশ কিস্কু বলেন, বেশকিছু দিন আগে আমরা বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যাতে কোনওভাবে খাবারে ভেজাল না মেশানো হয়। বৈঠকের পরই লাগাতার অভিযান চালানো হচ্ছে। অভিযান চালিয়ে খাবারের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। পুজো যাতে রেস্তরাঁয় ক্রেতাদের ভেজাল খাবার খেতে না হয়, সেকথা মাথায় রেখে অভিযান আরও বাড়ানো হচ্ছে। আমরা জেলাজুড়ে বড়সড় অভিযানে নামব। বালুরঘাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হরেরাম সাহা বলেন, ক্রেতাদের ঠকানো ঠিক নয়। খাবারের ভেজাল কোনওভাবে আমাদের সংগঠন সমর্থন করে না।
পুজোর সময় বালুরঘাট, গঙ্গারামপুর, বুনিয়াদপুর সহ হিলিতে প্রচুর দর্শনার্থী খাবারের দোকানগুলিতে ভিড় জমান। অভিযোগ, অধিকাংশ হোটেল ও রেস্তরাঁর মালিক নিম্নমানের খাবার ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে থাকেন। খাবার তৈরিতে ব্যবহৃত তেল থেকে শুরু করে মশলা ও খাবার সামগ্রীতে ভেজাল মেশানো হয়। এমন কারবারের মূল উদ্দেশ্য, ক্রেতাদের কাছ থেকে অধিক মুনাফা আদায় করা। পুরনো দোকানের পাশাপাশি এসময় রাস্তার ধারে প্যান্ডেল করে নতুন দোকান দিতে দেখা যায়। সেই দোকানগুলিতেও একইভাবে খাবারে ভেজাল মেশানো হয় বলে অভিযোগ। অন্যদিকে, দোকানে মিষ্টি তৈরিতে যে দুধ ও চিনি ব্যবহার করা হচ্ছে, তাতেও প্রচুর পরিমাণ ভেজাল থাকছে। চিনির বদলে স্যাকারিন মেশানো হচ্ছে। যে পরিবেশে খাবার তৈরি করা হচ্ছে, তাও অস্বাস্থ্যকর। পুজোর সময় যাতে ক্রেতাদের কোনওভাবে ভেজাল মেশানো খাবার খেতে না হয়, সেদিকে নজর দিয়ে প্রশাসনের তরফে হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও রাস্তার ধারে থাকা খাবারের দোকানগুলিতে নজরদারি চালানো হবে। খতিয়ে দেখা হবে তাদের প্রয়োজনীয় অনুমতি আছে কি না। সংগ্রহ করা হবে খাবারের নমুনা। সেগুলি পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হবে। কোনওরকম ভেজাল পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।