গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
অনেকদিন ধরেই কোচবিহার জেলায় রাজনৈতিক হিংসা সহ অন্যান্য অপরাধমূলক কাজ সংগঠিত হচ্ছে। এসব ঘটনায় বোমা, গুলি চালানোর মতো ঘটনা ঘটছে প্রায়ই। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কোচবিহার-১ ব্লকের জিরানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পানিমারার কুঠিতে একটি বিস্ফোরণ হয়। ওই ঘটনায় গুরুতর আহত হয় দু’জন। কোচবিহার মেডিক্যালে তাদের চিকিৎসা চলছে। ওই ঘটনায় আরও তিনজন যুক্ত বলে প্রাথমিকভাবে পুলিসের দাবি। তাদের খোঁজ চলছে। এছাড়াও জেলার নানা জায়গায় বোমা ও গুলি চালনার ঘটনা প্রায়ই ঘটে। এসব কিছুর উপরেই নজরদারি চালাবেন এই ক্রাইম ব্রাঞ্চের পুলিস অফিসাররা। জেলার পুলিস সুপার সুমিত কুমার বলেন, জেলায় পুলিসের ক্রাইম ব্রাঞ্চ গঠন করা হচ্ছে। ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসার থেকে অন্যান্য অফিসার ও পুলিস কর্মীদের নিয়ে মোট ১২-১৫ জনের একটি টিম করা হচ্ছে। অপরাধীদের উপর নজরদারি, নির্দিষ্টভাবে অপরাধীদের ট্র্যাক করা, তথ্য সংগ্রহ প্রভৃতি কাজ করবেন তাঁরা। গত মঙ্গলবার একটি খবর আসে, বোমা বাঁধার সময় বিস্ফোরণ হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, বোমা বাঁধার সময় তারা আহত হয়েছে। ওই ঘটনায় আরও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলছে। পুলিস একটি সুয়োমোটো মামলা দায়ের করেছে।
কোচবিহার জেলায় রাজনৈতিক হিংসাকে কেন্দ্র করে বোমা ও গুলি চালানোর মতো ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। গ্রাম পঞ্চায়েত দখলকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোল থেকে শুরু করে প্রাক্তন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতির গ্রামের বাড়িতে গুলি ছোড়ার মতো অভিযোগ উঠেছে। বেশকিছু ঘটনায় অনেকে আহত হয়েছে। আবার পুলিস বিভিন্ন ঘটনায় তদন্ত চালিয়ে বহু আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে। কিন্তু, বারবার প্রশ্ন উঠেছে, এই সমস্ত আগ্নেয়াস্ত্র কোথা থেকে আসছে? কারা সেসব আনছে? কী কাজে এগুলি ব্যবহৃত হচ্ছে। এসব আগ্নেয়াস্ত্র মজুত থাকা মানেই জেলায় অপরাধের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে, এটাই স্বাভাবিক। তাই পুলিসও চাইছে, অপরাধমূলক কাজ বন্ধ করতে। আর সে কারণেই এবার জেলায় ক্রাইম ব্রাঞ্চ গঠন করছে জেলা পুলিস বিভাগ।