কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
স্বাস্থ্যদপ্তরের দাবি, তারপরেও আত্মতুষ্টির জায়গা নেই। এরপরেও পুর এলাকায় যদি কেউ এখনও করোনা প্রতিষেধকের টিকা নিয়ে না থাকে তাঁদেরকেও বাড়ি বাড়ি গিয়ে খুঁজে বের করে টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তর। পুর এলাকায় টিকা না দেওয়াদের খোঁজ নিতে শনিবার থেকেই বাড়ি বাড়ি যাওয়ার অভিযান শুরু করেছে স্বাস্থ্যদপ্তর। স্বাস্থ্যদপ্তরের বাড়ি বাড়ি এই অভিযান চলবে আগামী ২৯ তারিখ পর্যন্ত। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরিশচন্দ্র বেরা বলেন, রাজ্যের যে ক’টি পুরসভা এলাকায় করোনার টিকাকরণ কর্মসূচির হার ১০০ শতাংশের উপর হয়েছে তার মধ্যে আলিপুরদুয়ার পুরসভা এলাকাও আছে। আলিপুরদুয়ার পুর এলাকায় করোনা টিকাকরণের হার ১৩৮ শতাংশ হয়েছে। তবে এতেও আমরা সন্তুষ্ট নই। পুর এলাকায় এখনও যাঁদের করোনার টিকা নেওয়া হয়নি তাঁদের শনিবার থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খুঁজে বের করে টিকা দেওয়া হচ্ছে। পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান বাবলু কর বলেন, শুধু পুর এলাকাতেই নয়। স্বাস্থ্যদপ্তর গোটা জেলাতেই করোনা টিকাকরণের কাজ সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। পুর এলাকায় টিকাকরণ কর্মসূচিতে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের এই অভাবনীয় সাফল্যকে আমরা কুর্নিশ জানাই। করোনার টিকা দেওয়ার হার ১০০ শতাংশের উপর হওয়ার পরেও স্বাস্থ্যদপ্তর তাঁদের টিকাকরণ কর্মসূচিতে কোনও ফাঁক রাখতে চাইছে না। সেই জন্যই পুর এলাকায় যদি এখনও যাঁদের টিকা নেওয়া হয়নি শনিবার থেকে তাঁদেরকে খুঁজে বের করে টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তর আগামী ২৯ তারিখ পর্যন্ত টানা চার দিন ধরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকা না নেওয়াদের খোঁজ নেবে।
বাড়িতে গিয়ে টিকা না নেওয়া কোনও ব্যক্তির খোঁজ মিললে বাড়িতেই সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের টিকা দেবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। তবে এক্ষেত্রে বয়স্ক ও অসুস্থদেরই একমাত্র বাড়িতে টিকা দেওয়া হচ্ছে। ৫০ বছরের নিচে থাকা কেউ যদি করোনা প্রতিষেধকের প্রথম ডোজ না নিয়ে থাকে তাঁদেরকে দ্রুত প্রয়োজনীয় নথিপত্র নিয়ে পুর এলাকায় বাড়ির কাছাকাছি সংশ্লিষ্ট টিকাকরণ কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পুর এলাকায় এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্মীরাও।