কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
যদিও ব্লক সভাপতিদের নামের তালিকা রাজ্য থেকে জেলায় আসার কথা অস্বীকার করেছেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি গিরীন্দ্রনাথবাবু। তিনি বলেন, জেলা নেতাদের মতানৈক্য দূরে সরিয়ে সবাইকে একত্রিত করে জেলার সংগঠনকে মজবুত করার পরিকল্পনা নিয়েছি। এনিয়ে আমি ব্লকে, পুরসভা এলাকায় গিয়ে বৈঠক করা শুরু করেছি। দলের সঙ্গে যাঁরা আছেন তাঁদের দলের নির্দেশ মেনে চলতে হবে। ব্লক সভাপতি নিয়ে এখনই কিছু বলছি না। সময় হলে সকলে সবটাই জানতে পারবে।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই তুফানগঞ্জ-১, কোচবিহার-১, শীতলকুচি, মাথাভাঙা-১ ও মেখলিগঞ্জে দলের ব্লক সভাপতি পরিবর্তনের হাওয়া ঘিরে জোর জল্পনা ছড়িয়েছে। মেখলিগঞ্জে প্রাক্তন এক জেলা সভাপতির ঘনিষ্ঠ এক নেতার নাম ব্লক সভাপতি হিসেবে পাঠিয়েছে রাজ্য নেতৃত্ব। মাথাভাঙা-১ ব্লকেও সভাপতি পরিবর্তন হওয়ার সম্ভবনা প্রবল রয়েছে। শীতলকুচি নিয়েও জোর জল্পনা ছড়িয়েছে।
প্রসঙ্গত, কোচবিহার জেলায় ছ’টি পুরসভা এলাকার সভাপতি দলের জেলা সভাপতি পরিবর্তনের সময়েই করা হয়েছে। ওই সময়ে মাথাভাঙা-২ ব্লক সভাপতিও পরিবর্তন করা হয়। এরপরেই জেলার ১২টি ব্লকের সিংহভাগ সভাপতিকে সরিয়ে নতুন করে সভাপতি করার জন্য রাজ্য নেতৃত্ব জেলা সভাপতির কাছে নামের তালিকা পাঠিয়েছে। ৬ সেপ্টেম্বর জেলা সভাপতির কাছে সেই তালিকা এলেও জেলা নেতাদের মধ্যে মতানৈক্য দূর করার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন নতুন সভাপতি। জেলা সভাপতির ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা নেতাদের একত্রিত করার পর নতুন ব্লক সভাপতিদের নাম ঘোষণা করার পরিকল্পনা নিয়েছেন জেলা সভাপতি। কিন্তু, নতুন জেলা সভাপতির নেতৃত্বে প্রথম বৈঠকে জেলার প্রথম সারির নেতারা যেভাবে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে জড়িয়ে পড়েছিলেন তা নিয়ে অসন্তুষ্ট হন নতুন জেলা সভাপতি। এরমধ্যে জেলার নেতারা নিজেদের কাছের লোকজনকে ব্লক সভাপতি করার জন্য তদবির করছেন। রাজ্যের কাছেও দরবার করার জন্য ছুটছেন তাঁরা। ফলে আবারও জেলাজুড়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল ব্যাপক আকার ধারণ করার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে।