পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ইসলামপুর পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান মানিক দত্ত বলেন, পুজোর আগে রাস্তাগুলি মেরামতি করার জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। বিশেষ করে যে এলাকায় পুজো মণ্ডপ থাকবে সেখানে মেরামতির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। কিন্তু সরকারি নির্দেশে নদী থেকে বালি পাথর তোলা বন্ধ আছে। তাই বালি পাথর পাচ্ছি না। পুরসভার এগজিকিউটিভ শীঘ্রই জেলাশাসকের অফিসে যাবেন কিছু কাজ নিয়ে। বালি পাথরের সমস্য নিয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে আলোচনা করতে বলেছিল। চলতি মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত নদী থেকে বালি পাথর তোলা বন্ধের নির্দেশ আছে। আমরা চেষ্টা করছি পাথর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুততার সঙ্গে কাজ করার।
বাসিন্দরা বলেছেন, আশ্রমপাড়া রোডের অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে ছিল। পুর কর্তৃপক্ষ ওই রাস্তায় বালি পাথর দিয়ে মেরামত করেছে। কিন্তু এভাবে মেরামত স্থায়ী সমাধান নয়। এখনও বৃষ্টিতে চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। কেএমসি মোড়ে পুজো হয়। কিন্তু পুজো মণ্ডপ যেখানে হবে তার পাশের রাস্তা বেহাল। পিচ উঠে গর্ত হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই জল দাঁড়িয়ে থাকে। আদি দুর্গা মন্দিরের সামনের রাস্তা দীর্ঘদিন থেকেই বেহাল। রাস্তা দেখে বোঝার উপায় নেই যে এখানে পিচের রাস্তা ছিল। কয়েকদিন থেকে বৃষ্টি নেই তারপরেও সেখানে জল আটকে আছে। মেলামাঠ এলাকায় রাস্তা খারাপ হয়ে আছে। শহর ঘুরলে এমন বেহাল রাস্তা অনেক আছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের উদাসীনতার কারণে রাস্তাঘাটের এই বেহাল দশা হয়ে আছে। পুজোর দিনগুলিতে সমস্ত মানুষ বাইরে বের হবে। পুজোর সময় গভীর রাত পর্যন্ত দর্শনার্থীরা হেঁটে বিভিন্ন মন্দিরে প্রতিমা দর্শন করে। কিন্তু রাস্তা বেহল থাকলে হাঁটতে গিয়ে মুশকিলে পড়ছেন বাসিন্দারা। সামান্য বৃষ্টি হলেও সমস্যা আরও বাড়িয়ে তুলবে। শহরের বাইরে গ্রামাঞ্চল থেকেও প্রচুর মানুষ আসে। পুজোর দিনগুলিতে যাতে দুর্ভোগে না পড়তে হয় সেজন্য রাস্তা সারাইয়ের জোরালো দাবি উঠেছে।