কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পন্নমবলম ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যে পরিসংখ্যান দিয়েছেন, তাতে জেলায় ১০ লক্ষ ৫৯ হাজার ৩৯৫ জনের প্রথম ডোজ টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে। দ্বিতীয় ডোজের টিকাকরণ হয়েছে ৪ লক্ষ ১৬ হাজার ৬৫ জনের। সবমিলিয়ে ১৪ লক্ষ ৭৫ হাজার ৪৬০ জনের টিকাকরণ হয়েছে।ডাঃ সংযুক্তা নিউ বলেন, বুধবার পর্যন্ত দার্জিলিং জেলায় ৮০ শতাংশ মানুষের প্রথম ডোজ টিকাকরণ হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজের টিকাকরণ হয়েছে ৩২ শতাংশ। সম্প্রতি ধস ও অবিরাম বৃষ্টির জেরে দার্জিলিং পাহাড়ের সুখিয়াপোখরি, বিজনবাড়ি সহ বেশকিছু প্রত্যন্ত এলাকায় প্রত্যাশামতো টিকাকরণ কর্মসূচি করা যায়নি। ফলে ওইসব জায়গায় ৭০ শতাংশেরও কম টিকাকরণ হয়েছে। তবে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার তুলনায় দার্জিলিং জেলায় টিকাকরণের অগ্রগতি সন্তোষজনক। জেলার শহর এলাকাগুলিতে টিকাকরণের হার বৃদ্ধি পেলেও গ্রামীণ ও আধা শহর এলাকায় টিকাকরণের গতি কিছুটা মন্থর বলে জানিয়েছেন ডাঃ সংযুক্তা লিউ। মাটিগাড়া, সুকনা ও নকশালবাড়িতে এখনও পর্যন্ত টিকাকরণের হার ৭০ শতাংশের কম। তিনি বলেন, সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রত্যেকের প্রথম ডোজের টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। কিন্তু, প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি ভ্যাকসিনের সরবরাহ না থাকার কারণে আমরা সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে পারছি না। তবে যেসব এলাকায় মানুষ ব্যাপকভাবে করোনা সংক্রামিত হয়েছিল, সেখানে বহু মানুষের মধ্যে ইতিমধ্যেই অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গিয়েছে। করোনার সম্ভাব্য তৃতীয় ঢেউ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে এই দু’টি দিক আমাদের আশাবাদী করে তুলেছে। সংযুক্তা লিউ বলেন, বিশেষজ্ঞদের আগাম ঘোষণা অনুযায়ী আগস্ট থেকে করোনার তৃতীয় কেউ আছড়ে পড়ার কথা ছিল। আমরা সেইমতো প্রস্তুতি নিয়ে রাখি। টিকাকরণে সেই মতো গতি বাড়ানো হয়। সেপ্টেম্বর মাস শেষ হতে চলল, পরিস্থিতি এখনও ভয়াবহ হয়ে ওঠেনি। সবকিছু বিবেচনা করে আমাদের ধারণা, ভ্যাকসিনের পাশাপাশি প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ে প্রচুর মানুষ সংক্রামিত হওয়ার ফলে তাদের মধ্যে করোনা প্রতিরোধের জন্য স্বাভাবিক অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গিয়েছে। সেই অ্যান্টিবডির জন্য বহু মানুষ করোনা প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করেছে। এটাই আমাদের করোনার সম্ভাব্য তৃতীয় ঢেউ প্রতিরোধ করার ক্ষেত্রে আশার আলো দেখাচ্ছে।