বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বনদপ্তর জানিয়েছে, আজ থেকে ৮০ বছর আগে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে গণ্ডার সংরক্ষণের কাজ শুরু হয়। কিন্তু, ক্রমাগত চোরাশিকারিদের হানায় গণ্ডারের সংখ্যা ১৯৮৪ সালে মাত্র ১৪টিতে এসে দাঁড়ায়। এই সঙ্কট থেকে বেরিয়ে আসতে ও গণ্ডারের সংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বনদপ্তর গ্রামবাসী এবং বনবস্তিবাসীকে নিয়ে যৌথ বন পরিচালন ব্যবস্থা শুরু করে। বনকর্তাদের দাবি, এই ব্যবস্থা চালু করতেই পরিস্থিতি আমূল বদলে যায়। বনদপ্তর জানিয়েছে, এই ব্যবস্থা চালু করে ৩০ বছরে সঠিক সংরক্ষণের জন্য ২০১৯ সালের গণ্ডার সুমারিতে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে গণ্ডারের সংখ্যা একলাফে ২৩৭-এ পৌঁছয়। বনকর্তারা এই জাতীয় উদ্যানে সঙ্গিনী দখলের লড়াইয়ে গণ্ডারদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এখানে স্ত্রী ও পুরুষ গণ্ডার সমান সমান হয়ে যাওয়ায় গণ্ডারদের মধ্যে সংঘর্ষ বেড়েছে বলে বনকর্তাদের দাবি। এদিন গণ্ডারদের জীবনশৈলীর বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে বনকর্তারা বলেন, একটি পুরুষ গণ্ডার পিছু তিনটি স্ত্রী গণ্ডার থাকা আবশ্যক। কিন্তু, এই জাতীয় উদ্যানে স্ত্রী ও পুরুষ গণ্ডার প্রায় সমান সমান হয়ে গিয়েছে। এই সমস্যা দূর করতে বনদপ্তর এবার ২১৬.৫১ বর্গ কিমির জলদাপাড়ার জঙ্গল পরিসর বৃদ্ধি করার উপর জোর দিয়েছে।