কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
গত লোকসভা নির্বাচন ও এবারের বিধানসভা ভোটে কোচবিহার জেলায় তৃণমূলের ভরাডুবি হয়। জেলায় দলের পরাজয় হলেও রাজ্যে তৃণমূলের সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এবার সামনে পুরসভা নির্বাচন। তাই এই পরিস্থিতিতে জেলার সবক’টি পুরসভাই নিজেদের দখলে রাখতে চাইছে শাসক দল। এদিকে সম্প্রতি দলের জেলা সভাপতি পরিবর্তন হয়েছে। আরও বেশ কয়েকটি পদে নতুন মুখ নিয়ে আসা হয়েছে। তাঁদের সামনে রেখেই এবার জেলায় পুরভোট সফল করতে হবে। আর সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে দল এখানে এগতে চাইছে।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, ইতিমধ্যেই জেলায় তিনটি পুরসভায় কর্মিসভা সেরে ফেলেছি। বাকি তিনটি পুরসভাতেও কর্মিসভা করা হবে। পুজোর আগে সভাগুলি শেষ করা হবে। আসন্ন পুরসভা ভোটে সবক’টি পুরসভাই দখল করা আমাদের টার্গেট। কোচবিহার জেলায় মোট ছ’টি পুরসভা রয়েছে। ছ’টি পুরসভাই তৃণমূলের হাতে ছিল। কিন্তু, বোর্ডগুলির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে সেখানে একসময়ে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছিল। প্রথমদিকে অনেক ক্ষেত্রে পুরসভার চেয়ারম্যানদেরই প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে আবার কিছুকিছু ক্ষেত্রে রদবদল হয়। সেই সময় কিছু জায়গায় প্রশাসনিক আধিকারিকদের প্রশাসক পদে নিয়ে আসা হয়। পরে আবার কিছুক্ষেত্রে তা পরিবর্তন করা হয়। প্রশাসক বোর্ডের সদস্য হিসেবে প্রাক্তন কাউন্সিলারদেরও রাখা হয়। এভাবেই এখন জেলার পুরসভাগুলি চলছে। এবারের বিধানসভা ভোটে জেলায় ন’টি আসনের মধ্যে সাতটিতেই তৃণমূলের পরাজয় হয়। শহরে দলের ফল খুব ভালো হয়নি। তাই পুরসভা নির্বাচনের আগে শহরে সংগঠনকে সাজিয়ে নিতে চাইছে দল। গত বুধবারই হলদিবাড়ি পুরসভায় দল কর্মিসভা করে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের বিভিন্ন স্তরের কমিটি গঠনের বিষয়ে জেলার শীর্ষ নেতৃত্ব চিন্তাভাবনা শুরু করেছে।
নেতারা সবদিকে নজর রাখছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র ভাবানীপুরে উপনির্বাচন শেষ হলেই তারা এ বিষয়ে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলবেন। আশা করা হচ্ছে, পুজোর পরেই সেই কমিটিগুলি গঠন করা হবে। কিন্তু, তারআগেই পুরসভাগুলিতে দল জনসংযোগ শুরু করে দিয়েছে।
বর্তমান শহর ব্লক সভাপতিদের মাধ্যমেই এই কাজ করা হচ্ছে। পাড়ায় পাড়ায়, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে জনসংযোগের কাজ ধারাবাহিক ভাবে চালানো হচ্ছে। খুব শীঘ্রই কোচবিহারেও দল কর্মিসভা করবে। কোচবিহার পুরসভা এলাকায় দল বেশকিছু জন সংযোগ কর্মসূচি নিয়েছে। আগামিদিনে এ ধরনের জনসংযোগ কর্মসূচিকে আরও বাড়িয়ে দল নির্বাচনের দিকে পা বাড়াতে চাইছে।