বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৬ সেপ্টেম্বর রাজ্য শিক্ষাদপ্তর থেকে এই বিষয়ে জেলায় নির্দেশ এসেছে। জেলা প্রশাসন ২০ সেপ্টেম্বর নির্দেশ দিয়েছে এবং ২৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ ব্যাপারে রিপোর্ট পাঠাতে বলেছে। জানা গিয়েছে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অধিকাংশ স্কুল অ্যাকাউন্ট খোলেনি।
জেলার বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এতদিন প্রতিষ্ঠানের নিকটবর্তী এলকায় যেকোনও ব্যাঙ্কের শাখায় অ্যাকাউন্ট খোলা হতো। মিড ডে মিল প্রকল্পে পড়ুয়াদের টাকা দেয় সরকার। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়া প্রতি ৪ টাকা ৯৭ পয়সা দেওয়া হয়। পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণীর পড়ুয়া প্রতি ৭ টাকা ৪৫ পয়সা দেওয়া হয়। করোনার জেরে মিড ডে মিল বন্ধ থাকায় এই টাকা দিয়ে আলু ও সাবান কিনে দেওয়া হচ্ছে। স্কুল চালু হলে রান্নাও চালু হবে। সেসময় লবণ, তেল, মশলা সহ বিভিন্ন জিনিস কিনতে হয়। এই টাকা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ খরচ করে। পরে বিল পাঠানো হয়। সেই হিসেবে প্রকল্প থেকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়া হয়। এতদিন কর্তৃপক্ষ নিকটবর্তী ব্যাঙ্কের শাখায় অ্যাকাউন্ট থাকায় অল্প সময়ে গিয়ে টাকা তুলতে পারতেন। এতে তাদের সুবিধা হতো।
শিক্ষকদের অভিযোগ, শহর এলাকা বাদে ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কের শাখা গ্রামাঞ্চলে নেই। নতুন নির্দেশ অনুসারে ২০-৩০ কিমি কিংবা আরও বেশি দূরের গিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। প্রতিমাসে একবার করে এই কাজের জন্য গোটা একটা দিন ব্যয় করতে হবে। গ্রামাঞ্চলের একজন এসএসকে সহায়িকা কিংবা প্রথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক কিংবা হাইস্কুলের মিড ডে মিলের দায়িত্ব থাকা শিক্ষককে শহরে ছুটতে হবে। পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল কংগ্রেস প্রথমিক শিক্ষক সমিতির উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ চৌহান বলেন, ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলা নিয়ে যে অর্ডার এসেছে তাতে জেলার সমস্ত প্রধান শিক্ষক ও ভারপ্রাপ্ত শিক্ষকরা অসুবিধার মধ্যে পড়বেন। অনেক ব্লকেই ওই ব্যাঙ্কের শাখা নেই। দূরবর্তী ব্যাঙ্কে গিয়ে টাকা তুলে নিয়ে এসে ছাত্রছাত্রীদের পরিষেবা দিতে অসুবিধার মধ্যে পড়বেন। সেজন্য আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি জানিয়েছি জেলার প্রতিটি ব্লকে ওই ব্যাঙ্কের অন্তত দু’টি শাখা খুলতে হবে। অন্তত একটি শাখা না খোলা পর্যন্ত অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফার করা যাবে না। অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফারে কাগজপত্রের জটিলতা কমাতে হবে, ব্যাঙ্ক পরিষেবা প্রদানে শিক্ষকদের সাথে খারাপ ব্যাবহার করা যাবে না। ডিপিএসসি’র চেয়ারম্যান জাভেদ আলম বলেন, এই বিষয়ে আমি শিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) দীপক ভক্ত বলেন, এমন নির্দেশ এসেছে। তবে সব জায়গায় ওই ব্যাঙ্কের শাখা নেই এটাও সত্য। ইসলামপুর ব্লকের মিড ডে মিল বিভাগের ওসি সত্রাজিৎ দাস বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ এলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান হবে।