বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গায়, ওয়ার্ড লাগোয়া অঞ্চলে এ ধরনের বর্জ্য বা জঞ্জাল ফেলার জন্য ভ্যাট রাখা থাকলেও সেখানে চিকিৎসা বর্জ্য ফেলা হচ্ছে না। তার চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ওসব পড়ে থাকছে। প্রতিদিন এই চিকিৎসা বর্জ্য পরিষ্কার না হওয়ায় বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে তা ছড়িয়ে যাচ্ছে। রক্ত মাখা তুলো, ব্যান্ডেজ, ব্যবহৃত সিরিঞ্জ, সূঁচ আরও কত কী পড়ে রয়েছে খোলা জায়গায়। তার পাশ দিয়ে, কখনও তার উপর দিয়েই হেঁটে যাচ্ছেন রোগী ও তাঁর পরিজনরা। এসব ভয়ঙ্কর দূষণ ছড়ানোর পাশাপাশি যেকোনও মুহূর্তে বিপদ ডেকে আনতে পারে।
করোনার পর সম্প্রতি শিশুদের জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে আক্রান্তের ঘটনায় উদ্বিগ্ন সব মহল। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও চিকিৎসা চলছে। আর এ ধরনে একটি গুরুত্বপূর্ণ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কীভাবে চিকিৎসা বর্জ্য দিনের পর দিন ছড়িয়ে থাকে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ চলে আসছে।
মঙ্গলবার দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পন্নমবলম উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে জরুরি বৈঠকে এসেছিলেন। জঞ্জাল সাফ নিয়ে গাফিলতির অভিযোগ তাঁর নজরে আনা হলে তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেন। জেলাশাসক বলেন, শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জঞ্জাল সাফাইয়ের কাজ বন্ধ করার জন্য চিঠি দিয়ে জানিয়েছিল। বিশেষ অনুরোধে তারা সেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। শিলিগুড়ি পুরসভাও কাজ করছে। পাশাপাশি আমরা বিকল্প ব্যবস্থা করারও উদ্যোগ নিয়েছি। নিয়মিত সাফাই হলে এমন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। এট অবশ্যই কর্তৃপক্ষের দেখা উচিত। আমি ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে জরুরি পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছি।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বর্জ্য পরিষ্কার করার কাজ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য কয়েক মাস আগে চিঠি দিয়েছিল এসজেডিএ। কিন্তু, হাসপাতাল পরিষ্কার রাখা একটা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাজ নয়, এই যুক্তিতেই এজেডিএ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে একথা জানিয়েছিল। এসজেডিএ’র মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক সুমন্ত সহায় জানিয়েছিলেন, এ কাজের জন্য তাদের মাসে সাতলক্ষেরও বেশি টাকা খরচ হয়। শিলিগুড়ি পুরসভাও এই হাসপাতালের বর্জ্য পরিষ্কারের কাজ করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ছ’টি ও ডেন্টাল কলেজে দু’টি ভ্যাট রয়েছে। এসজেডিএ সব বর্জ্য একজায়গায় করে ওই ভ্যাটে রাখে এবং পুরসভার ট্রিপারে তুলে দেয়। এ জন্য পুরসভাকে ভ্যাট প্রতি ৭০০ টাকা করে প্রতিদিন দেওয়ার কথা। কিন্তু, তিনবছর ধরে সেই টাকা শিলিগুড়ি পুরসভা ঠিক মতো পাচ্ছে না বলে অভিযোগ।