গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে ইতিমধ্যেই অক্সিজেন প্লান্ট চালু হয়েছে। জেলা হাসপাতালের প্লান্ট থেকে প্রতি মিনিটে ৪০০ লিটার অক্সিজেন উৎপাদন হচ্ছে। অর্থাৎ জেলা হাসপাতালের থেকে আড়াই গুণ বেশি অক্সিজেন উৎপাদন হবে ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। পাঁচতলা এই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের রোগীদের বেডে পাইপ লাইনের মাধ্যমে উৎপাদিত অক্সিজেন পৌঁছে যাবে। আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক সুরেন্দ্রনাথ মিনা বলেন, ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্টের ট্রায়াল রান শুরু হয়েছে। দ্রুত পাকাপাকিভাবে অক্সিজেন উৎপাদন শুরু হবে। ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার ডাঃ চন্দন ঘোষ বলেন, অক্সিজেন প্লান্টের এই ট্রায়াল রান আগামী কয়েকদিন চলবে। ট্রায়াল রানে উৎপাদিত অক্সিজেনের মানের রিপোর্ট উপর মহলে পাঠানো হচ্ছে। মান যাচাইয়ের পর সবুজ সঙ্কেত মিললেই পাকাপাকিভাবে সরাসরি হাসপাতালের রোগীদের বেডে অক্সিজেন সরবরাহ করা হবে।
প্রসঙ্গত, আলিপুরদুয়ার জেলায় কোনও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল নেই। ভরসা বলতে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতাল। সেজন্য জেলা হাসপাতালের উপর থেকে এই নির্ভরতা কমাতে ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালকে এক বছরের মধ্যে জেলা হাসপাতালের সমপর্যায়ে নিয়ে যেতে নানা পরিকল্পনা নিয়েছে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্যদপ্তর। প্রশাসন ও স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটিতে ৩০০ বেডের বিশেষ ওয়ার্ড ধাপে ধাপে চালু করা হবে। আপাতত এই হাসপাতালে আট বেডের একটি সিসিইউ আছে। সিসিইউয়ের বেডে সংখ্যা আট থেকে বাড়িয়ে ২৪ করা হবে। শিশুদের সুষ্ঠু চিকিৎসার কথা মাথায় রেখে ১০ বেডের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা পিকু চালু করা হবে। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে, আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে জেলার এই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ডায়ালিসিস ইউনিট চালু করার চেষ্টা চলছে। চালু হবে সিটিস্ক্যানও। জেলাশাসক জানিয়েছেন, মাদারিহাটে বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে জেলার তৃতীয় অক্সিজেন প্লান্ট বসানোর কাজও এবার দ্রুত শুরু করা হবে। সবমিলিয়ে আগামী দিনে আলিপুরদুয়ারে অক্সিজেনের আর কোনও ঘাটতি থাকবে না বলে মনে করা হচ্ছে।