বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন অনলাইনে বিশ্ববিদ্যায়ের অন্যান্য বিষয়ের পঠনপাঠন চলছে। কিন্তু, ম্যানেজমেন্ট কোর্স বলে ওই চারটি কোর্সের পঠনপাঠন হাতে-কলমে ছাড়া অনলাইনে সম্ভব নয়। কিন্তু, কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে এখন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। ফলে অফলাইন চালু না হলে এখনই ওই চারটি কোর্সে ভর্তি নেওয়া সম্ভব নয়। তবে আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহেন্দ্রনাথ রায় বলেন, ওই চারটি ম্যানেজমেন্ট কোর্সে ভর্তি হতে প্রতিদিন প্রচুর আগ্রহী পড়ুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে যোগাযোগ করে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। আমাদেরও খারাপ লাগছে ওই পড়ুয়াদের জন্য। তবে নভেম্বরে কোভিড-১৯ বিধিনিষেধ উঠে গেলে জানুয়ারিতে ওই চারটি ম্যানেজমেন্ট কোর্সে ভর্তি নেওয়া হবে। ততদিন পর্যন্ত আগ্রহী পড়ুয়াদের ধৈর্য্য ধরতেই হবে।
সেপ্টেম্বর মাসের গোড়ায় আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে টি, টিম্বার, হোটেল ও ফরেস্ট্রি এই চারটি কোর্স পড়ানোর অনুমোদন দিয়েছিল উচ্চ শিক্ষাদপ্তর। যেকোনও ম্যানেজমেন্ট কোর্সের পঠনপাঠন হয় অফলাইনে হাতে-কলমে।কিন্তু, কোভিড-১৯ পরিস্থিতির জন্য স্কুল কলেজের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ও বন্ধ। সেই কারণেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখনই ম্যানেজমেন্ট কোর্সের ভর্তির বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারছে না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আশা করছে, নভেম্বর মাসে কোভিড-১৯’র যাবতীয় বিধিনিষেধ উঠে যাবে। যদি নভেম্বরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় তাহলে ডিসেম্বরে চা শিল্প, বনদপ্তর, কাঠ ও হোটেল বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে জানুয়ারি মাসে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ এই চারটি কোর্সে ভর্তি নেওয়া শুরু করবে।
আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা দপ্তর আদিবাসী, রাজবংশী, রাভা, মেচ ও নেপালি এই পাঁচটি জানগোষ্ঠীর ভাষা নিয়ে নৃতাত্বিক গবেষণা করার বিষয়েও অনুমোদন দিয়েছে। কিন্তু, কোভিড-১৯ পরিস্থিতির জন্য এই বিষয়গুলিও চালু করতে পারছে না বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে জানুয়ারি মাসে এসব বিষয়েও পঠনপাঠন চালু করা হবে।
২০১৮ সালের ১ অক্টোবর রাজ্য বিধানসভায় আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট পাশ হয়। ১ অক্টোবরই আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দিবস। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, জাঁকজমকপূর্ণভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করা হবে। ওই দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা। বেঙ্গালুরু থেকেও একজন বিজ্ঞানী আসবেন বক্তৃতা দিতে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দিবসে স্যুভেনিয়র প্রকাশ হবে।