নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: আচমকা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হল শিলিগুড়ির জনজীবন। পুজোর দু’সপ্তাহ আগে মঙ্গলবার বিকেলে শহরে বজ্রবিদ্যুৎ সহ প্রবল বৃষ্টি হয়। এর জেরে চরম ভোগান্তির শিকার হয় সাধারণ মানুষ। পুজোর বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে। তবে টানা কয়েকদিন ধরে চলা গরমের হাত থেকে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। অন্যদিকে, এদিনের বৃষ্টিতে শহরের ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের সরোজিনীপল্লিতে ড্রেনের পাড় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বাসিন্দারা। বিষয়টি নিয়ে পুরসভা খোঁজখবর নিচ্ছে। সিকিম কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, মৌসুমী অক্ষরেখার পূর্বপ্রান্ত বেশ কয়েকদিন ধরে দক্ষিণবঙ্গ ও সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর পর্যস্ত বিস্তৃত রয়েছে। যার ফলে কয়েকদিন ধরে উত্তরবঙ্গে মেঘের আনাগোনা কমে গিয়েছিল। দিনের তাপমাত্রা বেড়ে গিয়েছিল। এর জেরে এদিন বাতাসে আদ্রতা বেড়ে যায়। এতেই বায়ুমণ্ডলে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। এর ফলে শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত হয়েছে। কয়েকদিন ধরেই শিলিগুড়ির আকাশ ছিল মেঘমুক্ত। দিনে রোদের তাপও ছিল মারাত্মক। এদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত একইরকম আবহাওয়া থাকে। হঠাৎ করেই দুপুরের পরে আকাশে মেঘ জমে। বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ বিদ্যুতের গর্জন শুরু হয়। সঙ্গে চলে হাওয়া। এরপরই একনাগাড়ে বেশ কিছুক্ষণ বৃষ্টি হয়। যারফলে শহরের বিভিন্ন রাস্তায় জল দাঁড়িয়ে যায়।
পথচারীদের একাংশ বলেন, আচমকা বৃষ্টি নামায় কাকভেজা হয়েই বাজারহাট সহ দৈনিক কাজ সারতে হয়েছে। তবে এই বৃষ্টির জেরে গরমের দাপট কিছুটা কমেছে। এতে বিকেলের পর থেকে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। পুজোর দু’সপ্তাহ আগে এই আবহাওয়া নিয়ে ব্যবসায়ীরা চিন্তায় পড়েছেন। তাঁদের একাংশের বক্তব্য, কোভিড মহামারীর জেরে ব্যবসা-বাণিজ্য কার্যত স্তব্ধ। তা হলেও আবহাওয়া ভালো হওয়ায় বাজারে এখন লোকজন আসতে শুরু করেছে। বিভিন্ন দোকান ঘুরে তাঁরা জামাকাপড় দেখছেন। কিন্তু, বিকেলে কিংবা সন্ধ্যায় আবহাওয়া খারাপ করলে ব্যবসা-বাণিজ্য আরও লাটে উঠবে।
শিলিগুড়ি পুরসভার কমিশনার সোনম ওয়াংদি ভুটিয়া বলেন, বিষয়টি শুনেছি। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।