দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
ইসলামপুর মৃৎশিল্পী ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক জগদীশ হালদার বলেন, গত বছর আমরা খুবই খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। এবছর অবশ্য গতবারের চেয়ে পরিস্থিতি কিছুটা ভালো। তারপরও আমরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছি। প্রতিমা তৈরিতে ব্যবহৃত বাঁশ, কাঠ, মাটি, সুতলি, খড়, রং, কাপড়, ছাঁচের দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। দু’বছর আগে আমরা যে দামে প্রতিমা বিক্রি করেছি, এখন তার চেয়ে দাম কমেছে। প্রতিমা আকারেও ছোট হচ্ছে। সাজ কমানো হচ্ছে। সরকারিভাবে কোনও সহায়তা পাইনি। সরকারি সহায়তা পেলে আমাদের মতো অনেক মৃৎশিল্পী উপকৃত হতো। মৃৎশিল্পী রামপ্রসাদ পাল বলেন, আমরা বংশপরম্পরায় প্রতিমা তৈরির কাজ করি। গত বছরও আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এবছরও পরিস্থিতি ভালো নয়। মৃৎশিল্পী ব্রজেন পাল বলেন, আমি ৩৪ বছর ধরে প্রতিমা তৈরির কাজ করি। এবছর প্রতিমা তৈরি করতে অনেক বেশি টাকা খরচ হচ্ছে। জানি না পুজো উদ্যোক্তারা বেশি দামে প্রতিমা কিনতে রাজি হবেন কি না। পরিস্থিতি দেখে যা মনে হচ্ছে, তাতে লাভের মুখ দেখতে পারব না। উত্তর দিনাজপুর জেলা শিল্পদপ্তরের আধিকারিক সুনীল সরকার বলেন, মৃৎশিল্পীরা হস্তশিল্পীর মধ্যে পড়েছেন। সরকারিভাবে তাঁদের জন্য বিভিন্ন স্কিম আছে। শিল্পীরা ঋণ পেতে পারেন। ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা আছে। ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে বয়সের শিল্পীদের দেখাশোনার কেউ না থাকলে ভাতা পেতে পারেন। যাঁরা সরকারি সুবিধা পাচ্ছেন না, তাঁরা দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তা পেতে পারেন। মৃৎশিল্পীরা জানিয়েছেন, রং, চুল, অস্ত্র, বার্নিশ সহ প্রতিমা সাজানোর বিভিন্ন সামগ্রী কলকাতা থেকে আনতে হয়। বাঁশ, সুতলি, মাটি স্থানীয় জায়গা থেকেই জোগাড় করা হয়। কিন্তু সমস্ত কিছুর দাম আকাশছোঁয়া হয়েছে। পুজো উদ্যোক্তারা প্রতিমার জন্য বরাত দিচ্ছেন। একাংশ উদ্যোক্তা কম বাজেটের মধ্যে ছোট প্রতিমা চাইছেন। একাংশ কম বাজেটে বড় প্রতিমা চাইছেন। ফলে লাভ তেমন হচ্ছে না। অনেক মৃৎশিল্পী আছেন যাঁরা প্রতিমা তৈরি করেই সংসার প্রতিপালন করেন, তাঁরা চরম আর্থিক সমস্যায় পড়েছেন। কেউ কেউ মৃৎশিল্পালয়ে দিন মজুরি হিসেবে প্রতিমা তৈরির কাজ করে সংসার প্রতিপালন করেন। তাঁরাও বেশি কাজ পাচ্ছেন না।
স্থানীয়রা বলছেন, করোনার জেরে বিভিন্ন শিল্পে আর্থিক মন্দার প্রভাব পড়েছে। তবে প্রায় সব জিনিসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মৃৎশিল্পীরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন।