দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
এব্যাপারে ইংলিশবাজার পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর প্রধান সুমালা আগরওয়াল বলেন, পুলিস ও প্রশাসনের তরফে শহরে রাস্তার উপর তোরণের ব্যাপারে আগেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে আমরা সোমবার একটি বৈঠক করি। ওই বৈঠকে নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এবার যথেচ্ছ তোরণ করা যাবে না। আলো এবং বিজ্ঞাপনী তোরণ মিলিয়ে সর্বাধিক ৮টি কাঠামো রাস্তার উপর একটি কমিটি করতে পারবে। ৩০ সেপ্টেম্বরের আগে তা তৈরি করা যাবে না। ওইদিন থেকে তা তৈরির কাজ শুরু করা যাবে। আশা করি পুরসভার নির্দেশ সকলে মেনে চলবেন। তিনি আরও বলেন, শহরে প্রায় ১৫০টি বারোয়ারি পুজো হয়। তারমধ্যে বিগ বাজেটের পুজো কমিটিগুলি তোরণ তৈরি করে। করোনা আবহে উদ্যোক্তারা এমনিতেই বাজেট কাটছাঁট করেছেন। ফলে তোরণের সংখ্যা এমনিতেই কম হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে রাজ্যের নানা শহরে রাস্তার উপর তোরণ তৈরির রেওয়াজ রয়েছে। বেশিরভাগ তোরণে বিজ্ঞাপন দাতাদের ফেস্টুন, ব্যানার প্রভৃতি টাঙানো থাকে। অনেক তোরণে রকমারি আলো থাকে। সেগুলিতে মূলত এলইডি আলোর বোর্ড লাগানো হয়। তোরণ লাগানোর ফলে সংশ্লিষ্ট রাস্তা দিয়ে পণ্যবোঝাই যান চলাচল করতে পারে না। তোরণের কাঠামোয় অন্যান্য যানবাহনের গতি স্তব্ধ হয়। তোরণ খোলার পর রাস্তা জুড়ে পেরেক, কাঠ ও বাঁশের টুকরো, ছেঁড়া কাপড়, দড়ি প্রভৃতি পড়ে থাকে। তাতে যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলে সমস্যা হয়। অনেক সময় উৎসব শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও তোরণ খোলার কোনও তাগিদ উদ্যোক্তাদের মধ্যে লক্ষ্য করা যায় না। এনিয়ে উদ্যোক্তারা ডেকরেটর মালিকদের উপর দায় চাপিয়ে দেন। ফলে পুলিসের তরফে তোরণ নির্মণ না করার জন্য সকলকে বলা হয়। এবার ইংলিশবাজার পুরসভার নির্দেশিকা শহরের পুজো উদ্যোক্তারা মেনে চলেন কিনা সেটাই দেখার।